তিন গোলরক্ষক নামিয়ে ৩ গোল হজম উগান্ডার, তাঞ্জানিয়ার ইতিহাস

0
18
উগান্ডাকে হারানোর পথে নাইজেরিয়ার উদ্‌যাপনএএফপি

টানা তিন জয়ে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করা নাইজেরিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে উগান্ডাকে ৩–১ গোলে হারিয়েছে তারা। ম্যাচে উগান্ডা এক পর্যায়ে ১০ জনের দলে পরিণত হয়, এমনকি পরিস্থিতির কারণে স্কোয়াডের তিনজন গোলরক্ষককেই ব্যবহার করতে হয় তাদের। যদিও কোনো পরিবর্তনই দলটির বিদায় ঠেকাতে পারেনি।

গ্রুপ ‘সি’-তে শীর্ষস্থান আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায়, ‘সুপার ঈগলস’দের কোচ এরিক শেলে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের একাদশে আট পরিবর্তন এনে উগান্ডার বিপক্ষে একাদশ গড়েন। তবে এ পরিবর্তনের প্রভাব দলের পারফরম্যান্সে পড়েনি।

একই গ্রুপের অন্য ম্যাচে তাঞ্জানিয়ার সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তিউনিসিয়া। গ্রুপগুলোর তৃতীয় সেরা দলের একটি হিসেবে এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তাঞ্জানিয়াও। নিজেদের ইতিহাসে এবারই প্রথম কাপ অব নেশনসের শেষ ষোলোয় খেলবে দেশটি। শেষ ষোলোয় তাঞ্জানিয়ার প্রতিপক্ষ মরক্কো।

‘ডি’ গ্রুপে বেনিনকে ৩–০ গোলে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে সেনেগাল। এই গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে তাদের সঙ্গী হয়েছে ডিআর কঙ্গো, যারা বতসোয়ানাকে হারিয়েছে ৩–০ গোলে। তাঞ্জানিয়ার মতো বেনিনও তৃতীয় সেরা দলগুলোর একটি হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে। নকআউট পর্বে বেনিনের প্রতিপক্ষ মিসর।

তাঞ্জানিয়ার ইতিহাস গড়ার উদ্‌যাপন
তাঞ্জানিয়ার ইতিহাস গড়ার উদ্‌যাপন, রয়টার্স

ফেজ স্টেডিয়ামে শুরুতে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে বেশ ভালোভাবেই লড়াই শুরু করেছিল উগান্ডা। তবে ম্যাচে ২৮ মিনিটে পল ওনুয়াচুরের গোলে এগিয়ে যায় নাইজেরিয়া। পিছিয়ে পড়া উগান্ডা বড় ধাক্কা খায় ম্যাচের ৪৬ মিনিটে। এ সময় চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় উগান্ডার ৪০ বছর বয়সী গোলরক্ষক ডেনিস ওনিয়াঙ্গোকে।

ওনিয়াঙ্গোর বদলি হিসেবে উগান্ডার পোস্টে দাঁড়ান সালিম মাগুলা। মাঠে নামার ১১ মিনিট পরই দলের বিপত্তি আরও বাড়ান এই গোলরক্ষক। নিজেদের বক্সের অনেক বাইরে ভিক্টর ওসিমেনের লব শট হাত দিয়ে ঠেকিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন তিনি। তাঁর জায়গায় মাঠে নামেন দলের তৃতীয় গোলকিপার নাফিয়ান আলিওনজি এবং মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার বাবা আল হাসান।

শেষ ষোলোয় যাওয়ার আনন্দ ডিআর কঙ্গোর
শেষ ষোলোয় যাওয়ার আনন্দ ডিআর কঙ্গোরএএফপি

আলিওনজি মাঠে আসার ছয় মিনিটের মধ্যেই নাইজেরিয়ার রাফায়েল ওনিয়েদিকার শটে গোল হজম করেন। পাঁচ মিনিট পর ৬৭ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে আবারও জাল খুঁজে নেন ওনিয়েদিকা। ৩–০ গোলে এগিয়ে গিয়ে নাইজেরিয়া প্রায় তখনই জয় নিশ্চিত করে ফেলে। ৭৫ মিনিটে উগান্ডার হয়ে একটি গোল করেন রজার্স মাতো।

প্রথমবারের মতো শেষ ষোলোয় ওঠার পর তাঞ্জানিয়ার কোচ মিগেল গামোন্দি বলেছেন, ‘দল প্রস্তুত করার জন্য আমাদের হাতে খুব বেশি সময় ছিল না, তবে ফেডারেশনের সঙ্গে মিলেই আমরা কাজ করেছি। আমি শুধু নিজের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্যই ভীষণ গর্বিত। শেষ ষোলোয় ওঠা তাঞ্জানিয়ার জন্য দারুণ এক সাফল্য।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.