বিসিবি জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাথমিক দলও নির্বাচন করা হয়ে গেছে একজন ছাড়া। তিনি হলেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যিনি বর্তমানে দুবাইতে রয়েছেন। ২৬ বা ২৭ জুলাই লন্ডনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দেশে ফিরবেন তিনি।
লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে বিসিবি ও তামিমের যোগাযোগ হয়েছে। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আশা করছেন, ৩১ জুলাই জানতে পারবেন তামিম কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থাকবেন কিনা।
তামিমের কোমরে সমস্যা পুরোনো। যেটা মাঝে মাঝেই ফিরে আসে। শুধু লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁর কোমরে কোনো সমস্যা খুঁজে পান না। ইংল্যান্ডের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গত মে মাসে বিশ্বকাপ সুপার লিগের সিরিজের আগে লন্ডনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখান তিনি।
পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোনো সমস্যা না পাওয়ায় ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেন। বাঁহাতি এ ব্যাটারের নেতৃত্বে সিরিজটি জিতেছিল বাংলাদেশ। আইরিশদের বিপক্ষে খেলতে কোনো সমস্যা না হলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ শুরুর আগে কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত হন তামিম।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আফগানদের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্ট ম্যাচে খেলেননি তিনি। অথচ পুরোপুরি ফিট না হয়েও ওয়ানডে সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তী সময়ে যেটা নিয়ে প্রচুর জল ঘোলা হয়েছে। প্রথম ওয়ানডের পরই অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
বাঁহাতি এ ব্যাটারের অবসর নাটক শেষ হয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে। ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টদের অনুমান, সামনে আরও অনেক নাটকীয় ঘটনার জন্ম দিতে পারেন ওয়ানডে অধিনায়ক। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ যেখানে তামিম-রহস্যের জট খুলতে পারছে না সেখানে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের দল ঘোষণার প্রশ্নে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তামিম কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থাকবেন কিনা। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘তামিম ২৬ তারিখ লন্ডন যাচ্ছে। ওখানে চিকিৎসার পর তার অবস্থা জেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার পরিকল্পনা হলো ৩১ তারিখের মধ্যে দেশে ফিরবে। এর পর তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।’
বিসিবি কর্মকর্তাদের অনুমান, তামিমের কোমরের ব্যথা শারীরিকের চেয়েও মানসিকভাবে বেশি। শারীরিক জড়তা রয়েছে– এমন ক্রিকেটারকে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের দলে রাখা যৌক্তিক হবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে জালাল ইউনুস বলেন, ‘এটা মেডিকেল বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে। যখন একটা দল খেলে, তখন অবশ্যই ফুল ফিটনেস নিয়েই খেলে।’
তামিম আসলে দেড় মাসের ছুটিতে আছেন। সে হিসেবে তাঁকে নিয়ে এখন ভাবার কথা ছিল না বিসিবির। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট সামনে থাকায় ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। আসলে যেখানে খেলার চেয়ে রাজনীতি বেশি থাকে, সেখানে সতর্ক পদক্ষেপ ফেলা ছাড়া উপায়ও নেই বিসিবি কর্তাদের।