
গত বছর তাইওয়ানের আকাশসীমায় ১ হাজার ২৪১টি চীনা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করেছিল। এর মধ্যে পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম এইচ–৬ যুদ্ধবিমানও ছিল। আর আগের বছর এ সংখ্যা ছিল ৫৩৮। এ ছাড়া গত বছর পেলোসির সফরের পর তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে চীনের ৭১টি ড্রোন।
চীন–তাইওয়ানের বিরোধ বেশ পুরোনো। তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। তবে তাইওয়ান চায় স্বাধীনতা, স্বশাসন। এ বিরোধে তাইওয়ানের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই এ বিরোধ এখন আর আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক নয় বরং আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের অনেকেই। এর মধ্যেই গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মার্কিন রাজনীতিবিদ হিসেবে পেলোসি তাইওয়ান সফর করেছেন।
মূলত পেলোসির সফরের পর থেকেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় চীন। এমনকি দেশটি গত আগস্টে তাইওয়ানের চারপাশে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালায়।
এ বিষয়ে তাইওয়ানের সাবেক চিফ অব জেনারেল স্টাফ লি সি–মিন বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করতে চাইছে বেইজিং। চীনা কর্তৃপক্ষ বোঝাতে চাইছে, তোমরা নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি এসো না, অতিক্রম কোরো না।’
তাইওয়ান ইস্যুতে কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে ওয়াশিংটন। জো বাইডেন প্রশাসন বারবার বলেছে, তারা চীনের অখণ্ডতায় বিশ্বাস করে। এক চীন নীতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে ‘বিশেষ মিত্র’ হিসেবে গণ্য করে ওয়াশিংটন।
আক্রান্ত হলে তাইওয়ানের পাশে থাকবে বলেও প্রকাশ্যে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
এ পরিস্থিতিতে তাইপের রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষক জে মিখায়েল কোল বলেন, ‘তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনা আকাশযানের অনুপ্রবেশ বেড়েছে ঠিকই। তবে এর অর্থ এটা নয় যে চীন তাইওয়ানে আগ্রাসন চালাতে প্রস্তুত। এ জন্য দেশটিকে অনেক মাস ধরে ধারাবাহিক প্রস্তুতি নিতে হবে।’