নিহত নারীর নাম রুবিনা আক্তার (৪৫)। তিনি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তেজকুনিপাড়ায় থাকতেন। তাঁর স্বামী এক বছর আগে মারা গেছেন। তাঁদের এক সন্তান রয়েছে। আর গাড়ির চালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষক বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে রুবিনার ভাই জাকির হোসেন জানান, রুবিনা তাঁর দেবরের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে হাজারীবাগে তাঁর (রুবিনা) বাসায় যাচ্ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিপরীত পাশে মোটরসাইকেলটিকে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে রুবিনা গাড়ির সামনে পড়ে যায়। আর তাঁর দেবর নুরুল আমিনও পাশে পড়ে যায়। পরে গাড়িটি রুবিনাকে হিঁচড়ে নিয়ে দ্রুতি টানতে থাকে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের ভাষ্য, ঢাকা মেট্রো-ক ০৫-০০৫৫ নম্বরের গাড়িটি চালিয়ে শাহবাগ থেকে টিএসসির দিকে আসছিলেন এক ব্যক্তি। গাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। হঠাৎ চারুকলা অনুষদের উল্টো পাশের সড়কে এক নারী তাঁর গাড়ির নিচে পড়ে আটকে যান। আশপাশে লোকজনের উপস্থিতি দেখে চালক ভয় পেয়ে যান। তিনি বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে থাকেন। ওই নারীকে গাড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করার জন্য পথচারীরা ওই চালককে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি বেপরোয়া গতিতে গাড়ি নিয়ে টিএসসি থেকে নীলক্ষেতের দিকে চলে যান। এ সময় পথচারীরা গাড়িটিকে পেছন থেকে তাড়া করেন। পরে নীলক্ষেতের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ থেকে পলাশী অভিমুখী সড়কের মুখে গাড়িটি আটকে ফেলেন পথচারীরা। গাড়ির নিচ থেকে ওই নারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় গাড়ির চালককে গণপিটুনি দেন পথচারীরা। গাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুরও করা হয়। আহত চালককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায় পুলিশ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিকেল পাঁচটার দিকে বলেন, ‘আহত নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।’