ঈদের ছুটিতে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে আজ বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যানজট লক্ষ্য করা যায়নি। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য সড়ক-মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়ছে। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-রাজশাহী ও বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে সিরাজগঞ্জ জেলা ও ট্রাফিক পুলিশের প্রায় ৮ শতাধিক সদস্য সক্রিয় রয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সিরাজগঞ্জে যানজট নেই। তবে গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে সওজের সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক)-২ সংযোগ সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ কারণে ওই মহাসড়কের অনেক অংশে এখনও কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে ওই অংশে যানবাহন কিছুটা ধীরগতিতে চলাচল করছে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (অ্যাডমিন) সালেকুজ্জামান খান জানান, মহাসড়কে যান চলাচল বাড়লেও যানজট নেই। কড্ডার মোড়ে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল রয়েছে। চালকের হুড়োহুড়ি ও যত্রতত্র পার্কিং ঠেকাতে মাইকিং করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষণাবেক্ষন প্রতিষ্ঠানের (বিবিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, ঈদের আগে সেতু পারাপারে পূর্ব দিকের টোলপ্লাজায় ১১টি এবং পশ্চিম দিকের টোলপ্লাজায় ৯টিসহ ২০টি লেন চালু রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব ও পশ্চিম পাড়দিয়ে ৩০ হাজার ২৫১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর আগের দিন পারাপার হয়েছে ২২ হাজার ৪৮৫টি যানবাহন। গত দু’দিনে প্রায় ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার যানবাহন আরও বাড়তে পারে।