ঢাকা-চট্রগ্রাম মধুর হাড়ি

0
130

ক, খ, গ, ঘ– চার নামে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চার ক্যাটাগরি সার্কেল। রাজস্ব আদায়, কর্মপরিসর, অবকাঠামো অবস্থাসহ বিভিন্ন সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে পদায়ন ও বদলির জন্য এই সার্কেল ভাগাভাগি। এর মধ্যে ‘ক’ সার্কেল ঘিরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাতামাতি। গাড়িবিষয়ক কার্যক্রম বেশি হওয়ায় ‘ক’ সার্কেলে উপরি আয়ের সুযোগ অবারিত। তাই ঘুরেফিরে এই সার্কেলেই থাকতে চান প্রভাবশালী কর্মকর্তারা। এ জন্য চলে তদবির! বদলি হলেও ঊর্ধ্বতনদের আশকারায় ফের ‘ক’ সার্কেলেই থিতু হন অনেক অসাধু কর্তা। এ নিয়ে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ভেতরে রয়েছে অসন্তোষ।

বিধিতে আছে, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এক সার্কেলে একাধারে তিন বছরের বেশি থাকতে পারবেন না; পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষেত্রে তা দুই বছর। বদলি বা পদায়নের ক্ষেত্রে ‘ক-ঘ-গ-খ’ এবং ‘ঘ-ক-খ-গ’– এভাবে চক্র মেনে বদলি হবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিধিতে আরও বলা আছে, যৌক্তিক প্রয়োজনে কাউকে চক্রের বাইরেও পদায়ন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে নিতে হবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অনুমতি। তবে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভিন্ন তথ্য। বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘুরেফিরে ‘ক’ সার্কেলেই পদায়নের চেষ্টা করেন। তদবিরের কারণে ওই সময় কোনো নিয়মনীতি মানা হয় না।

বারবার ‘ক’ ক্যাটাগরির সার্কেলে যারা বিআরটিএর ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ (মিরপুর), ঢাকা মেট্রো সার্কেল-২ (ইকুরিয়া), ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩ (উত্তরা), ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৪ (পূর্বাচল), ঢাকা জেলা অফিস এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ‘ক’ ক্যাটাগরিভুক্ত। এ ছাড়া ‘ক’ ক্যাটাগরির অন্য জেলাগুলো হলো– চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, যশোর, নড়াইল, বগুড়া, কুমিল্লা ও গাজীপুর। পূর্বাচল অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন এর আগে একই পদে  ছিলেন ইকুরিয়া ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে, তাঁর তিন কর্মস্থলই ‘ক’ সার্কেলে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ বছর ঢাকায় আছেন তিনি। একই অফিসের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মোর্শেদুল আলম দীর্ঘদিন ঢাকায় চাকরি করছেন। মোটরযান পরিদর্শক ও সহকারী পরিচালক হিসেবে মিরপুর কার্যালয়েই চাকরি করেছেন দুইবার।

মিরপুর অফিসের সহকারী পরিচালক শফিকুল আলম সরকার একই পদে এর আগে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন প্রায় আড়াই বছর। এরপর মিরপুর কার্যালয়ে বদলি হন। মিরপুরের পরিদর্শক আল ফয়সাল ঘুরেফিরে ঢাকার বিভিন্ন অফিসেই কর্মরত ছিলেন। এর আগেও তিনি মিরপুরে প্রায় তিন বছর একই পদে ছিলেন। সেখান থেকে বদলি হন উত্তরা কার্যালয়ে। উত্তরায় তিন বছর থাকার পর আসেন বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে। এরপর ফের বদলি হয়ে আসেন মিরপুরে।

ইকুরিয়া অফিসের উপপরিচালক সানাউল হক এর আগে মিরপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও সিলেটে একই পদে দায়িত্ব পালন করেন। নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সিলেটে শ্রমিক অসন্তোষ ও তাদের দাবির মুখে সেখান থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়। ঢাকা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. মুছা এর আগে ছিলেন মিরপুর কার্যালয়ে। মিরপুর অফিসের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন চাকরির পর থেকে বেশিরভাগ সময়ই ঢাকায় কর্মরত। উত্তরার মোটরযান পরিদর্শক বশির উদ্দিন ঘুরেফিরে ‘ক’ সার্কেলেই চাকরি করছেন। মিরপুর অফিসের মোটরযান পরিদর্শক জিয়াউর রহমানের চাকরির বেশি সময় কেটেছে ঢাকায়। উত্তরার উপপরিচালক কাজী মো. মোরছালীন চাকরিজীবনে একবার ‘গ’ সার্কেল নরসিংদীতে চাকরি করেন, তাঁর বাকি কর্মস্থল ‘ক’ সার্কেলে।

চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থী একাধারে সাত বছরের বেশি সময় বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কর্মরত। চট্ট মেট্রো সার্কেল-২-এর সহকারী পরিচালক ওমর ফারুকও ‘ক’ সার্কেলেই চাকরি করছেন অনেক বছর। চট্ট মেট্রো সার্কেল-১-এর সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন চট্টগ্রামেই রয়েছেন। এ তিনটি ‘ক’ সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বছরের পর বছর ‘ক’ সার্কেলে কর্মরত রয়েছেন। তবে তাদের বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘ক’ সার্কেলে এক পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে নতুন পদে গেলে সমস্যা নেই। বড় আত্মসাৎ, ছোট শাস্তি বিআরটিএ উত্তরা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামানসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজস্বের ৪ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৯০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত। বিআরটিএর অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিই ওই টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। অথচ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সাজা হিসেবে তাঁর এক বছরের ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। এত টাকা আত্মসাৎ করে নামকাওয়াস্তে বার্ষিক বর্ধিত বেতন এক বছরের জন্য স্থগিত করা বিস্ময়কর বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারি টাকা পকেটে ভরে সেই কর্মকর্তা দিব্বি চাকরি করছেন। উত্তরায় আসার আগে তিনি বিআরটিএর খুলনা অফিসে মোটরযান পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে ইকুরিয়া অফিসের ১ হাজার ৫৪২টি মোটরযান রেজিস্ট্রেশন-সংক্রান্ত নথি কম্পিউটার থেকে গায়েব করে দেওয়া হয়। তখন কামরুজ্জামান ইকুরিয়ার মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ২০১৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। সাজা হিসেবে ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বার্ষিক বর্ধিত বেতন এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। এ ব্যাপারে মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার কিছু মনে নেই, জানা নেই।’ গাড়ির ওজন কমিয়ে রেজিস্ট্রেশন দিনে তিন হাজার কেজি ওজনের মালবাহী গাড়ি ঢাকা নগরে চলাচলে বিধিনিষেধ রয়েছে। গাড়ি যাতে অনায়াসে চলতে পারে, এ জন্য আর্থিক সুবিধা নিয়ে মালবাহী যানবাহনের (পিকআপ, ফ্রিজার ভ্যান, ডেলিভারি ভ্যানগাড়ি) ওজন কম দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে বিআরটিএতে। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হলেও লাভবান হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তা আর গাড়ির মালিক। এ ধরনের রেজিস্ট্রেশন করতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন কর্মকর্তারা। ওজন কমানোর কারণে সরকারি রেজিস্ট্রেশন ফি কমে আসে। ঢাকা মেট্রো-শ-১৪-১১৭৩ এবং ঢাকা মেট্রো-শ-১৪-১১৭৪ নম্বরের গাড়ি দুটি গত বছরের ১৭ নভেম্বর বিআরটিএ ইকুরিয়া কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রেশন-সংক্রান্ত কাগজপত্রে প্রতিটি গাড়ি পণ্যসহ সর্বোচ্চ ওজন উল্লেখ করা হয়েছে ২ হাজার ৯১৫ কেজি। অনুসন্ধানে পেয়েছে, এ দুটি গাড়ির ওজন কম দেখানো হয়েছে। আমদানির কাগজপত্রে পণ্যসহ প্রতিটি গাড়ির ওজন ৩ হাজার ৮৮৫ কেজি রয়েছে। প্রকৃত ওজন দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হলে দিনের বেলায় ঢাকা নগরে চলাচলে বিধিনিষেধের আওতায় পড়ত। প্রতিটি গাড়ি থেকে সরকার ৩২ হাজার টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে। শুধু এ দুটিই নয়, এমন অনেক মালবাহী গাড়ি ওজন কম দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে। ইকুরিয়া অফিসের রেজিস্ট্রেশন শাখার উপপরিচালক সানাউল হক বলেন, ‘আমাদের গাড়ির ওজন করার সুযোগ থাকে না। বিল অব এন্ট্রিতে যেভাবে থাকে, সেভাবে রেজিস্ট্রেশন দিয়ে থাকি।’ রেজিস্ট্রেশনে নয়ছয় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা ২৫৫টি ট্রাক, মিনিট্রাক ও পিকআপ ২০২২ সালে বিআরটিএর বরিশাল সার্কেল থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়। তৎকালীন সহকারী পরিচালক শাহ আলম আর্থিক সুবিধা নিয়ে গাড়িগুলো রেজিস্ট্রেশন দেন। এসব গাড়ির আমদানির কাগজপত্র এবং গাড়ির মালিকের নাম-ঠিকানা, টিআইএন সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, মালিকের ছবি, গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমার রসিদসহ কোনো কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট সার্কেলে সংরক্ষিত নেই। প্রতিটি যানবাহন থেকে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক এই কর্মকর্তা চট্টগ্রাম জেলা ও সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় অসংখ্য গাড়ি জালিয়াতি করে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছেন। বরিশালে ২৫৫ গাড়ির অসংগতিপূর্ণ রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে গত ৩ মে বিআরটিএর বিভিন্ন সার্কেলে সদরদপ্তর থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠি সমকালের হাতেও এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, ২৫৫ মোটরযান অসংগতিপূর্ণ রেজিস্ট্রেশন দেওয়ায় বরিশাল সার্কেলের অভিযুক্ত সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান। বাদ যায় না চোরাই মোটরসাইকেলও বিআরটিএর সিলেট সার্কেলের উপপরিচালক মো. শহিদুল আযমের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সিলেটে বদলি হওয়ার আগে তিনি ঢাকার উত্তরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে ১৩টি মোটরসাইকেল অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার লিখিত অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সদরদপ্তর থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি চারটি মোটরসাইকেল আমদানি-সংক্রান্ত কাগজপত্রে ত্রুটি পায়। সেগুলো হলো ঢাকা মেট্রো-ল-৩১-০৫৪৮, ঢাকা মেট্রো-ল-৩১-২৭৬২, ঢাকা মেট্রো-ল-৩১-১৬৯৭ ও ঢাকা মেট্রো-ল-২৯-৭১৭০। তদন্ত কমিটির সুপারিশে পরে এগুলোর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়। রেজিস্ট্রেশন বাতিল হলেও রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় যারা ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শহিদুল আযম বিআরটিএর ময়মনসিংহ অফিসে থাকাকালে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নেত্রকোনার অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় ২৪০টি যানবাহন অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়। সেগুলোর নথি নেই সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে। এক ঠিকানায় অনেক রেজিস্ট্রেশন এক ঠিকানায় বিভিন্ন ব্যক্তির মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার তথ্য অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। একই অস্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করে বিভিন্নজনকে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে মিরপুর অফিস থেকে। রাজধানীর মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের ৯৪৮ নম্বর বাড়ির ঠিকানায় ছয়টি মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার তথ্য মেলে। ওই বাড়িতে আদৌ এতজন মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী বাস করেন কিনা, তা যাচাই করতে সম্প্রতি খোঁজ নেওয়া হয় সেখানে। বাড়ির মালিক আবুল কাশেম জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে দুইজন ভাড়াটিয়ার মোটরসাইকেল ছিল। বর্তমানে দুটি মোটরসাইকেল রয়েছে দু’জন ভাড়াটিয়ার। এত মোটরসাইকেল তাঁর বাড়ির ঠিকানায় কেন রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তা জানা নেই তাঁর। ওই বাড়ির ঠিকানায় যেসব মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেগুলো হলো– ঢাকা মেট্রো-ল-৬১-৮৯১৬, ঢাকা মেট্রো-ল-৬১-৮৯১৭, ঢাকা মেট্রো-ল-৬২-০৩৪৪, ঢাকা মেট্রো-ল-৬০-৭১০৭, ঢাকা মেট্রো-ল-৭১-৩৩৯৮ এবং ঢাকা মেট্রো-ল-৭১-৬১১০। এ ছাড়া পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ২১৩/৩/১ নম্বর ঠিকানায় ২০২২ সালে ২২টি ও রূপনগরের ৬/৬ নম্বর ঠিকানায় ২৭টি মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বরিশালে ভুয়া গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে জড়িত সাতজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.