মঞ্চটা তৈরিই ছিল। আরও নির্দিষ্ট করে বললে নাপোলির উৎসবের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিল ইন্টার মিলান, লাৎসিওকে ২-১ গোলে হারিয়ে। তারপর হিসাবটা খুব সহজ ছিল নাপোলির জন্য। সালেরনিতানাকে হারাও, ৩৩ বছর পর সিরি আ জয়ের উৎসব করো ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে।
জয়ের আশাও তৈরি করেছিল নাপোলি। ৬২ মিনিটে লেফট ব্যাক ম্যথিয়াস ওলিভেরার গোলে এগিয়ে গিয়ে গ্যালারির নীল সমুদ্রে গর্জন তুলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর আজ উৎসব হলো না নাপোলির। ৮৪ মিনিটে সেই গোল শোধ করে দিয়ে নাপোলির উৎসবের অপেক্ষা বাড়িয়ে দিল সালেরনিতানা।
আপাতত ৩২ ম্যাচ শেষে নাপোলির পয়েন্ট ৭৯। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাৎসিওর পয়েন্ট ৬১। উদিনেসের মাঠে নাপোলি পরের ম্যাচটা খেলবে ৫ মে। সেদিন আরও একবার উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে দাসিয়া অ্যারেনায় যাবেন নিয়াপলিতানোরা।
নাপোলির যে গোলটার অপেক্ষা ছিল, সেটা এলো ম্যাচের ৬২ মিনিটে। বাঁ পাশ থেকে জিয়াকোমো রাশপাদোরির কর্নার। উড়ে আসা বলে হেড করলেন ওলিভেরা। তারপর ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামের দৃশ্যটা হলো দেখার মতো। নীল সমুদ্র যেন একসঙ্গে গর্জন করে উঠল।
ওলিভেরা মাঠের সীমানা পেরিয়ে লাফিয়ে দর্শকদের কাছাকাছি চলে গেলেন উদযাপন করতে। এরপর থেকেই গ্যালারিতে নাচ-গান চলছিল গ্যালারিতে। কিন্তু ৮৪ মিনিটে সালেরনিতানার বুলায়ে দিয়া সেই গোলটা শোধ করে নাপোলির সেই উচ্ছ্বাসে পানি ঢেলে দিলেন।
৩৩ বছর ধরে লিগ শিরোপার অপেক্ষায় থাকা নিয়াপলিতানোদের হয়তো বেশ মন খারাপই হয়েছে। নিজেদের মাঠে শিরোপা উৎসব করার সুযোগটা পাচ্ছে না তারা। তবে নাপোলি এবার লিগ জিততে যাচ্ছে এতে আসলে সন্দেহ নেই।
বাকি ছয় ম্যাচে লাৎসিও সর্বোচ্চ ১৮ পয়েন্ট পেতে পারে, তাতে ওদের মোট পয়েন্ট হবে ৭৯, যা নাপোলির এখনকার পয়েন্ট। বাকি ৬ ম্যাচে নাপোলি আর ১টা পয়েন্টও পাবে না, এটা আসলে অসম্ভবই।
হয়তো উদিনেসের মাঠেই হবে নাপোলির সেই উৎসব। আপাতত সেই ম্যাচেরই অপেক্ষা লুসিয়ানো স্পালেত্তির দলের।