হেরে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের

0
103
সামারাবিক্রমা ও আশালঙ্কার কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ৬৬ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় শ্রীলঙ্কার

মাত্র ১৬৪ রানের অল্প পুঁজি নিয়েও শুরুতে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেননি টাইগাররা। সামারাবিক্রমা ও আশালঙ্কার কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ৬৬ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। এর আগে, টস জিতে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা।

বাংলাদেশকে হারিয়ে একটি রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে হারানোর মধ্যে নিয়ে লঙ্কানরা জিতলো টানা ১১টি ওয়ানডে। এই হারে সুপার ফোরে যাওয়ার পথটা কঠিন হয়ে গেল বাংলাদেশের। লাহোরে পরের ম্যাচের আফগানিস্তানকে হারানোর এখন বিকল্প নেই আর।

১৬৪ রানের পুঁজি নিয়ে বল করতে এসে লঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুনারত্নকে বোল্ড করলেন তাসকিন আহমেদ। ৩ বলে ১ রান করেন তিনি। নিজের প্রথম ওভারে ৯ রান দিলেও শরিফুল দ্বিতীয় ওভারে দলকে সাফল্যে ভাসালেন। মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে শরিফুলের বলে উইকেট হারান পাথুম নিশাঙ্কা। ১ চারে ১৩ বলে ১৪ রান করে ফিরলেন নিশাঙ্কা। ১৫ রান তুলতেই দুই উইকেট খুইয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান শিবিরে এরপর আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। নড়বড়ে কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করেন তিনি। ২১ বলে ৫ রানে আউট হন মেন্ডিস।

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে প্রতিরোধ গড়ছিল শ্রীলঙ্কা। চারিথা আশালঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জুটিতে উঠে ৭৮ রান। দলীয় ১২৮ রানে সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মাহেদী। ৫৪ রানে থামেন সামারাবিক্রমা। এর পরের ওভারেই সাকিবের আঘাত। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার(২) স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

এরপর দলনেতা দাসুন শানাকাকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন চারিথ আশালাঙ্কা। মাঠ ছাড়ার আগে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে। আর শানাকা মাঠ ছাড়েন ১৪ রানে। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি উইকেট নেন সাকিব। ১টি করে নেন তাসকিন, শরিফুল ও মাহেদী।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করে ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রান তুলতেই সবকটি উইকেট হারিয়েছে শিরোপার লক্ষ্যে এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়া টিম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তাদের শেষ ৪ উইকেট বাংলাদেশ হারিয়েছে মাত্র দুই রানে। মাহেদী হাসানের পর একে একে ড্রেসিংরুমে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

দুই তরুণ ওপেনার ফিরলেন শুরুতেই। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন তামিম। নাঈম শেখও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন ১৬ রান করে। চারে নেমে সাকিব ফেরেন ৫ রান করে। এরপর শান্ত ও হৃদয় ৫৯ রানের একটা জুটি গড়ে স্বস্তি দিয়েছেন। তবে হৃদয় বিদায় নিতেই দ্রুত উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৪১ বলে ২০ রান করে ফিরেছেন হৃদয়। ছয়ে নেমে মুশফিকুর ফিরেছেন ১৩ রান করে।

দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও একাই লড়াই করে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ১২২ বল খেলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। ৭ বাউন্ডারিতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেই থামতে হয়েছে তাকে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি মিস করার আক্ষেপ নিশ্চয়ই থাকবে তার। শ্রীলংকার পক্ষে মাতিশা পাতিরানা ৩২ রানে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন।

বাংলাদেশ একাদশ: নাঈম শেখ, তানজিদ তামিম, নাজমুল শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি মিরাজ, শেখ মাহেদী, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কার একাদশ: দিমুথ করুনারত্নে, পাথুন নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথা আশালঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাশুন শানাকা, দুনিথ ওয়াল্লালাগে, মহেশ থিকসানা, কাসুন রাজিথা, মাথিসা পাথিরানা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.