এ মাসের শেষেই উদ্বোধন করা হবে জানিয়ে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘এই মাসে উদ্বোধন হচ্ছে না, এমন কিছু আমরা এখনো শুনিনি। এই মাসেই উদ্বোধন করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটা মাথায় রেখেই উদ্বোধনের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকব। তারপর প্রধানমন্ত্রী যে দিন তারিখ ও সময় দেবেন, সেই দিন উদ্বোধন করা হবে।’
মেট্রোরেল চালুর জন্য শতভাগ প্রস্তুত আছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘সবশেষ কাজটি ছিল সিস্টেম ইন্টিগ্রেশনের কাজ। এই কাজ করতে আমরা তিন মাস সময় লাগবে বলেছিলাম। কিন্তু কাজগুলো রাতে ও দিনে করে আমরা তা ইতিমধ্যে শেষ করেছি। এখন সিস্টেম ট্রায়াল বা সার্ভিস ট্রায়াল চলছে। আগামী কয়েক দিনের ভেতরে পুরোপুরি সার্ভিস ট্রায়াল শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কারণ আমরা যতগুলো পরীক্ষা চালিয়েছি, কোথাও কোনো জায়গা থেকে আবার নতুন করে শুরু করার প্রয়োজন পড়েনি। সার্ভিস ট্রায়াল শেষ হলে পরে আমরা ব্ল্যাঙ্ক অপারেশন করব।’
শুরুতে মেট্রোরেলে পরিপূর্ণ যাত্রী বহন করা হবে না জানিয়ে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, আন্তর্জাতিক চর্চা যেটা, যে উদ্বোধনের পর ট্রেনে যখন যাত্রী পরিবহন করে চলাচল শুরু হবে, সে ক্ষেত্রে একদম প্রথম থেকেই পরিপূর্ণভাবে যাত্রী বহন করে চলাচল শুরু না করা। এটা আস্তে আস্তে পর্যায়ক্রমে বাড়াতে হবে।
বিশ্বের সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মেট্রোরেল প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়। পরবর্তী দুই থেকে তিন মাসের ভেতরে পুরোপুরি শতভাগ স্বাভাবিকভাবে যাত্রী পরিবহন করবে।
মোট ১২টি ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ১০টি ট্রেন সরাসরি যাত্রী পরিবহন করবে। আর দুটি ডিপোতে যেকোনো সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকবে। ওই দুটি ট্রেন চালানোর জন্য যে কর্মকর্তারা রয়েছেন, তারাও থাকবেন। প্রয়োজন না হলেও সব সময় ব্যাকআপ রাখতে হয়। যাতে যাত্রীদের কোনো সমস্যা না হয়।