প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক ও তার স্ত্রী নুছরাত জাহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক টি এম জুবায়ের ও তার স্ত্রীর নামে পাঁচটি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পেয়েছে দুদক। দুদক আদালতের কাছে দাবি করেছে, টি এম জুবায়েরের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করে বিভিন্ন পদে চাকরি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
অন্যদিকে ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের বিষয়ে দুদক আদালতের কাছে দাবি করেছে, হামিদুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এ অবস্থায় তিনি ও তার স্ত্রী বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। তাই তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দরকার। পরে শুনানি নিয়ে আদালত হামিদুল হক ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
১৯৭০ সালে কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করা হামিদুল হক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯০ সালের ২২ জুন সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি কোরে তিনি কমিশন পান। মেজর জেনারেল হামিদুল হক সর্বশেষ সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং সিলেটের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কলেজ সেক্রেটারি এবং কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।