ডিএই কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

0
61
দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কবীরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। স্টাফ ডরমেটরি নির্মাণ না করেই ৪ কোটি ৭৫ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৭ টাকা বিল উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক মহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর প্রকল্পের পরিচালক এস এম খালিদ সাইফুল্লাহ, একই প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক অনন্ত সরকার, মাল্টিবিজ ইটারন্যাশনালের মালিক মো. ইকবাল হোসেন, শহিদুল্লাহ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটডের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মুনির উদ্দিন আহমেদ ও আশরাফুজ্জামান।

আসামিদের নামে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) আওতায় ৬ তলা ফাউন্ডেশনে ৫ তলা বিশিষ্ট অফিসার কাম স্টাফ ডরমেটরি নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিল উত্তালন করেন। এভাবে তারা প্রায় পৌনে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন।

গত ১৫ জুলাই দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট সেখানে অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলের বাস্তব স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করে। ইউনিট জানায়, ঢাকার শ্যামপুরে ওই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ১৫৮ কাটি ৩২ লাখ টাকা। প্রকল্পে ৬ তলা ফাউন্ডেশনে ৫ তলা বিশিষ্ট অফিসার কাম স্টাফ ডরমেটরি নির্মাণে (ফার্নিচার, এসি, লিফট, ল্যান্ড ও অন্যান্য কাজসহ) মোট ৩০ হাজার ৬১৭ বর্গফুট কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয় ১৯ কোটি টাকা। অফিসার কাম স্টাফ ডরমেটরি নির্মাণ করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ওই ভবন নির্মাণ কাজর জন্য ১৭ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৩ টাকায় সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স মাল্টিবিজ ইটারন্যাশনাল কার্যাদেশ পায়।

এনফোর্সমেন্ট অভিযানে দেখা যায়, আসামিরা গত জুন মাসে প্রথম চলতি বিল বাবদ ৩ কোটি ৯ টাকা তুলে নেন। একই মাসে আরও এক কোটি ৭৫ লাখ ৫ হাজার ৭৩৯ টাকার বিল তুলে নেন তারা। তবে গত ১৫ জুলাই এনফোর্সমেন্ট টিম নির্মাণাধীন ভবন সরেজমিন পরিদর্শনকাল বাস্তবে ভবনের পাইলিং কাজ চলমান পাওয়া যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.