ডলার সংকটে ধুঁকছে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত

0
215
ডলার সংকট প্রকট হচ্ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ডলার সংকট প্রকট হচ্ছে। গত বছর থেকেই এ সংকটের শুরু। মাঝে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও আবার অবনতি হচ্ছে। জ্বালানি পণ্য সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানির কাছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বকেয়া দিন দিন বাড়ছে। বকেয়া বিল পরিশোধে এ মুহূর্তে অন্তত ১০০ কোটি ডলার দরকার। হাতে টাকা থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী ডলার নেই। ফলে বকেয়া পরিশোধ করা যাচ্ছে না। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও আগের মতো সন্তোষজনক অবস্থায় নেই। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাহিদামতো ডলারও দিচ্ছে না; বরং আইএমএফের শর্ত মেনে নিট রিজার্ভ বাড়াতে ডলার বিক্রি কমানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রমতে, যথাসময়ে অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় কয়েক কোটি টাকা জরিমানা গুনছে পেট্রোবাংলা। ডলার সংকট দীর্ঘায়িত হলে ব্যাহত হতে পারে এলএনজি আমদানি। ডলারের অভাবে কয়লা আমদানিও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পায়রা, রামপালসহ একাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সংকটে পড়েছে। এ অবস্থায় চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। তেল আমদানির বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে বিপিসি। বকেয়া পরিশোধ না করলে তেল সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। ডলার চেয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ থেকে অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংককে বারবার চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে যোগাযোগ করেও সুফল মিলছে না।

জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ডলারের কারণে সমস্যা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। তিনি বলেন, ডলার না পেলে কয়লা, এলএনজি– সবকিছুতেই সমস্যা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, শুধু একদিকে দেখলে তো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলবে না; বিদ্যুৎ-জ্বালানির পাশাপাশি অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য হিসেবে বিবেচিত সার, খাদ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডলার সহায়তা দিতে হচ্ছে। আবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমে ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমেছে। ফলে ধীরে ধীরে ডলার বিক্রি না কমিয়ে উপায় নেই।
ডলার সংকট কেন কাটছে না
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার সংকট কাটাতে বিভিন্ন উপায়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় বা বিলাসবহুল পণ্যের এলসিতে শতভাগ পর্যন্ত মার্জিন নির্ধারণ এবং শুল্কহার অনেক বাড়ানো হয়েছে। আবার কেউ ওভার ইনভয়েসিং বা আন্ডার ইনভয়েসিং করছে কিনা, তা যাচাই করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব উদ্যোগের ফলে চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত আমদানি ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে রপ্তানি ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েছে ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এতে ডলার সংকট কমার কথা। এর পরও দিন দিন সংকট প্রকট হওয়ার মূল কারণ বিদেশি ঋণ ব্যাপকভাবে কমেছে। সুদসহ যে পরিমাণ আগের দেনা পরিশোধ হচ্ছে, নতুন ঋণ আসছে সে তুলনায় কম। এসব কারণে গত মার্চ পর্যন্ত আর্থিক হিসাবে ২২২ কোটি ডলারের ঘাটতি তৈরি হয়েছে; আগের অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে উদ্বৃত্ত ছিল ১ হাজার ১৯২ কোটি ডলার। শুধু এ কারণে আমদানি কমা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পরও বৈদেশিক মুদ্রার সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে ৮১৭ কোটি ডলারে ঠেকেছে, যা গত অর্থবছরে ছিল মাত্র ৩১০ কোটি ডলার।
ডলার বিক্রি কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

পরিস্থিতির উন্নয়নে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে রেকর্ড প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। গত অর্থবছর বিক্রি করা হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ রয়েছে ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ৪২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার ছিল। আর ২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক বর্তমানে রিজার্ভের এ হিসাব দেখালেও আইএমএফের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিবেচনায় নিট রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের মতো।

বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি এরই মধ্যে ছাড় হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় হতে পারে নভেম্বরে। এর আগে যেসব শর্ত মানতে হবে তার অন্যতম হলো– বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব করতে হবে আইএমএফের বিপিএম৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন তহবিলে জোগান দেওয়া অর্থ রিজার্ভে দেখানো যাবে না। আবার আগামী এক বছরে যে পরিমাণ দেনা রয়েছে, তা বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভের হিসাব করতে হবে। আর এই হিসাব মেনে চলতি বছরের জুনে নিট রিজার্ভ অন্তত ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার থাকতে হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে আরও বাড়িয়ে ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে। নিট রিজার্ভ বাড়াতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) জোগান দেওয়া তহবিলের আকার ৭ বিলিয়ন থেকে কমিয়ে এরই মধ্যে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে নামানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ইডিএফের আকার আরও কমানো হবে।
বন্ধ কয়লা আমদানি
বিল বকেয়া থাকায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে চীনা কোম্পানি সিএমসি। গত ২৫ মে থেকে একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ। মজুত কয়লা দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিটটি ২/৩ জুন পর্যন্ত চলবে। কয়লা আমদানি বাবদ বর্তমানে পায়রার ২৯ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার বকেয়া আছে। গত ১৩ এপ্রিল চিঠি দিয়ে সিএমসি জানায়, এপ্রিলে ৫ কোটি ডলার (৫ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা) পরিশোধ করা হলে মে মাসের জন্য এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলা যাবে। মে মাসে ৭ কোটি ডলার (৭ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা) এবং পরবর্তী প্রতি মাসে ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করলে প্রয়োজনীয় কয়লা সরবরাহ অব্যাহত রাখতে ঋণপত্র খোলায় বাধা থাকবে না। সর্বশেষ তিন কোটি ডলার বরাদ্দ পেয়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এই অর্থ দিয়ে এলসি খুলে কয়লা আনতে সময় লাগবে ২০-২৫ দিন। ফলে প্রায় তিন সপ্তাহ দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরো বসে থাকবে।

এদিকে, ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় গত ২৩ এপ্রিল থেকে প্রায় ২২ দিন বন্ধ ছিল রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রটি থেকে ৫০০-৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও এখন অর্ধেক বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি না হওয়ায় দুই মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিল বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির।
বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি তেল আনতে পারছে না
পিডিবির কাছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর পাওনা অন্তত ১৫০ কোটি ডলার। পিডিবি বিল পরিশোধ করতে পারছে না। ফলে জ্বালানি আমদানি করে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না কোম্পানিগুলো। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কোনোমতে সামাল দিতে পারলেও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কয়েক মাস ধরে বিল বকেয়া থাকার কারণে তাদের ঋণের সুদ বাবদ খরচ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
সংকটে গ্যাস সরবরাহ
ডলার সংকটে পেট্রোবাংলা এলএনজি আমদানির বিল, এলএনজি টার্মিনালের চার্জ এবং দেশে কর্মরত বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানির (আইওসি) বিল দিতে পারছে না। সময়মতো বিল না দেওয়ায় জরিমানা গুনতে হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটিকে। পেট্রোবাংলার মোট বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি ডলার।

সূত্র জানিয়েছে, ডলার সংকটে কাতারের রাস গ্যাস থেকে ২০ কার্গো এলএনজি আমদানির বিল নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে পারেনি পেট্রোবাংলা। এ জন্য ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।

বিবিয়ানা ও জালালাবাদের বিক্রি করা গ্যাসের ১১টি বিল ডলার সংকটে সময়মতো শোধ করতে পারেনি পেট্রোবাংলা। এ জন্য ২৪ লাখ ১২ হাজার ৯৯১ ডলার জরিমানা দাবি করেছে গ্যাসক্ষেত্রের ইজারাদার যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন। বহুজাতিক কোম্পানি তাল্লোর গ্যাস ও কনডেনসেট বিক্রির দুটি বিল এবং সামিটের এলএনজি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট এফএসআরইউ (ভাসমান টার্মিনাল) ভাড়ার একটি বিল নির্ধারিত সময়ে দিতে পারেনি পেট্রোবাংলা।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইওসির বিল দিতে ব্যর্থ হলে লাইবরের (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেট) সঙ্গে ১ থেকে দেড় শতাংশ এবং এলএনজি বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে লাইবরের সঙ্গে ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে জরিমানা পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিল শোধে যত বিলম্ব হবে, জরিমানা তত বাড়বে।

ডলার সংকটের সুরাহা চেয়ে একাধিকবার বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ গত ২ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে লেখা জ্বালানি বিভাগের চিঠিতে প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এবং জরিমানা এড়াতে পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহের অনুরোধ করা হয়। আইওসির গ্যাসের দাম, শুল্ক ও কর এবং এলএনজি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থানের জন্য গত ১১ মে জ্বালানি বিভাগে আবার চিঠি দিয়েছে পেট্রোবাংলা।
জ্বালানি তেল আমদানিও সংকটে
ডলার সংকটে আমদানি করা জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না বিপিসি। এতে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে তেলবাহী কার্গো না পাঠানোর হুমকি দিয়েছে। জ্বালানি বিভাগে পাঠানো বিপিসির এক চিঠিতে বলা হয়, দেশের চাহিদা অনুযায়ী প্রতি মাসে ১৭-১৮টি এলসির মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ টন পরিশোধিত এবং ১ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়। বর্তমানে সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক মাসে ৪-৫টি এলসি খুললেও অগ্রণী ব্যাংক দুটির বেশি এলসি খুলতে অনীহা প্রকাশ করেছে। ডলারস্বল্পতা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ডলার সরবরাহ না করায় যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না। কয়েক ধাপে একটি এলসির মূল্য পরিশোধ করতে ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগছে। গত ১১ মে পর্যন্ত বিপিসির কাছে সরবরাহকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ কোটি ডলার।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বকেয়া পরিশোধ না করায় চলতি মাসে ৩০ হাজার টনের একটি ডিজেল কার্গো বাতিল করে ভিটল সিঙ্গাপুর। প্রতিষ্ঠানটির পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি ডলার। সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ না হলে আগামী মাসের চারটি কার্গোতে ৯০ হাজার টন ডিজেল এবং ২৫ হাজার টন ফার্নেস অয়েল সরবরাহ করবে না বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।

গত ১০ মে ইন্দোনেশিয়ার বিএসবি জানিয়েছে, তাদের বকেয়া পাওনা ১২ কোটি ২৫ লাখ ডলার পরিশোধ না করলে জুন মাসে ৬০ হাজার টন ডিজেল এবং ২৫ হাজার টন ফার্নেস অয়েল সরবরাহ করবে না।

সূত্রমতে, আগামী মাসের সরবরাহসূচিতে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের ৪৫ হাজার টন ডিজেল এবং ১৫ হাজার টন বিমানের জ্বালানি জেট এ-১ সরবরাহের কথা থাকলেও বকেয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটি আমদানিসূচি চূড়ান্ত করেনি। একই কারণে এখন পর্যন্ত জুন মাসের আমদানিসূচি নিশ্চিত করেনি এনোক এবং পেট্রোচায়না সিঙ্গাপুর।

বিপিসি জ্বালানি বিভাগকে জানিয়েছে, বকেয়া বিলের কারণে জ্বালানি সরবরাহে অনীহার পাশপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিলম্বে আমদানি মূল্য পরিশোধের জন্য বাড়তি চার্জ দাবি করছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অব্যাহত রাখা চ্যালেঞ্জ হবে। এতে দেশের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।

গত ৯ মের এক চিঠিতে বিপিসি জানিয়েছে, ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারিকে ৪ কোটি ১১ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে এ বছর। ইন্ডিয়ান অয়েলকে ডিজেল ও জেট ফুয়েল বাবদ দিতে হবে ১৪ কোটি ৭২ লাখ ডলার। এ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে রুপিতে অর্থ পরিশোধ করতে পারে, এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিপিসি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.