
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘আশার আলো’ দেখতে পাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার একটি পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে এক প্রশ্নের জবাবে পুতিন এ কথা বলেন। তাঁর বিশ্বাস, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বগুণ দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে স্বাভাবিক করতে পারবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি মনে করি, দীর্ঘ অন্ধকার শেষে অবশেষে আশার আলো উদ্ভাসিত হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা আলাস্কায় একটি চমৎকার, গঠনমূলক ও খোলাখুলি বৈঠক করতে পেরেছি।’ গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে পুতিন এ কথা বলেন।
পুতিন আরও বলেন, ‘এখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের ওপরই পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে। তবে আমার বিশ্বাস, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্ব দেওয়ার যে সক্ষমতা, তা দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে বড় নিশ্চয়তা দেবে।’
রুশ প্রেসিডেন্টের কথায় ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত ও ব্যবসায়িক চুক্তি করার বিষয়ে রাশিয়া আশাবাদী। যদিও ১৫ আগস্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকে ইউক্রেন সংঘাত সমাধানের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো অগ্রগতি হয়নি।
পুতিন আর্কটিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে বলেছেন, এ অঞ্চলে বিপুল খনিজ সম্পদ আছে এবং রুশ জ্বালানি কোম্পানি নোভাটেক ইতিমধ্যে সেখানে কাজ শুরু করেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করছি। শুধু আমাদের আর্কটিক অঞ্চলে নয়, আলাস্কার বিষয়েও। এ সময়ে আমাদের হাতে যে প্রযুক্তি আছে, তা আমরা ছাড়া অন্য কারও হাতে নেই। আর এটাই আমাদের অংশীদারদের আগ্রহের জায়গা, যুক্তরাষ্ট্রেরও তা–ই।’
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্ক এখন স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। দুই পক্ষই বলছে, সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে বিশাল অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হবে।
রয়টার্স