‘ট্রাম্পের জারিজুরি শেষ’, বললেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল

0
79

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘জারিজুরি শেষ’ বলে মন্তব্য করেছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেতিশিয়া জেমস। গতকাল বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কথাবার্তায় তিনি ‘দমে যাবেন না’।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি ডলার জালিয়াতির মামলা চলছে। এ মামলায় তিনি গতকাল নিউইয়র্কের আদালতে হাজির হন। তবে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল লেতিশিয়া জেমস ওই সব কথা বলেন।

গতকাল আদালতের কার্যক্রম শেষে চলে যান ৭৭ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর আগে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল জেমসের বিরুদ্ধে সরব হন। এ সময় অভিযোগ করে তিনি বলেন, এটা ‘কারচুপির’ বিচার। ‘ডেমোক্র্যাটদের পরিচালিত’ বিচারক তাঁর বিচার করছেন। এর মাধ্যমে তাঁকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা থেকে দূরে রাখা হচ্ছে।

ট্রাম্পের মতোই মামলায় ঘুরপাক খাচ্ছেন তাঁর সহযোগীরা

ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি বরং নিউ হ্যাম্পশায়ার, সাউথ ক্যারোলাইনা, ওহাইও অথবা আরও অনেক জায়গায় থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি এখানে আটকে আছি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের কারণে।’

এর প্রতিক্রিয়ায় আফ্রিকান বংশোদ্ভূত অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস বলেন, এ সপ্তাহে ট্রাম্প তাঁর ওপর ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন, যা অপরাধমূলক, ভিত্তিহীন; এসবের কোনো সত্যতা নেই বা তথ্যপ্রমাণ নেই।

বিচারক আর্থার এনগোরনকে ট্রাম্প মৌখিকভাবে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, এই বিচারক জানেন, তিনি কী করতে যাচ্ছেন। তিনি একজন ডেমোক্র্যাট।

এর আগের দিন মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বিচারক এরগোরনের এক সহকারীকে নিয়ে অপমানজনক কথা লিখেছিলেন। এর জেরে বিচারক এনগোরন ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমার আদালতের কোনো কর্মীর ওপর ব্যক্তিগত আক্রমণ মেনে নেওয়া হবে না।’

ট্রাম্পের মামলার পেছনে ছয় মাসে ব্যয় ৪ কোটি ডলার

অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তাঁর ছেলে এরিক ও ডন জুনিয়র এবং ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য নির্বাহীর বিরুদ্ধে আবাসনের (রিয়েল এস্টেট) সম্পদের মূল্য ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্যাংক থেকে আরও বেশি ঋণ পাওয়া ও ইনস্যুরেন্স–সুবিধার জন্য এটা করা হয়েছে।

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে একের পর এক অভিযোগ আনা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.