টি ট্রি অয়েলে ত্বক ও চুলের যত্ন

0
180
ত্বক ও চুলের যত্ন

ত্বক ও চুলের যত্নে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার হয়ে উঠেছে হালের ট্রেন্ড। ব্রণ, র‍্যাশের দাগ, খুশকি বা অ্যালার্জি কমাতেই বেশি ব্যবহৃত হয় এই এসেনশিয়াল অয়েল। টি ট্রি অয়েল ব্যবহারের খুঁটিনাটি জানিয়েছেন জারাস বিউটি লাউঞ্জের রূপবিশেষজ্ঞ ফারহানা রুমি। লিখেছেন রিফাত পারভীন

বলা হয়, ত্বকের সব থেকে বড় শত্রু ব্রণ। আর এখনকার সময়ে ব্রণের সমস্যার সব থেকে সহজ ও কার্যকর সমাধান টি ট্রি অয়েল। ব্রণ মূলত ইনফেকশনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। আর ইনফেকশনের কারণে হওয়া যেকোনো সমস্যা কমাতেই টি ট্রি অয়েল উপকারী।

টি ট্রি অয়েলে ত্বক ও চুলের যত্ন

ব্রণের পাশাপাশি দাগের জন্যও কয়েক ফোঁটা অয়েলের জুড়ি নেই। র‍্যাশের কারণে হওয়া জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ হলে এর অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান দেবে আরাম।
টি ট্রিতে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান, যা খুশকির সমস্যা সমাধানে উপকারী। টি ট্রির গুণাগুণ আছে, এমন শ্যাম্পু সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহারে অনেকটাই কমবে খুশকির সমস্যা।

কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েলেই ত্বক ও চুলের কয়েক ধরনের সমস্যা কমবে। কিন্তু ব্যবহারের আছে নিয়ম। এই এসেনশিয়াল অয়েল কোনোভাবেই সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি অন্য কোনো তেল, যেমন অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েলের সঙ্গে মিশিয়েও নয়।

মুখের ত্বকে ব্যবহারের আগে ত্বককে সঠিকভাবে প্রস্তুত করে নেওয়া জরুরি। আর মাথার ত্বকের জন্য এর ব্যবহারবিধি একেবারেই আলাদা।

টি ট্রি অয়েলে ত্বক ও চুলের যত্ন

ব্যবহারের টুকিটাকি

মুখের ত্বকে টি ট্রি অয়েল ব্যবহারের আগে টি ট্রি অয়েলের গুণাগুণ আছে, এমন ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এরপর টোনার ব্যবহারের পালা। টোনার রোমকূপ বন্ধ করতে সাহায্য করবে। শেষে ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার বা সিরাম। টি ট্রি অয়েল ব্যবহারের আগে এভাবেই ত্বককে প্রস্তুত করে নেওয়া জরুরি।
তেল ব্যবহারের সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, যেন চোখে বা এর চারপাশেও কোথায় না লাগে। টি ট্রি অয়েল প্রথমে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে নেওয়া জরুরি। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো, এটি ব্যবহারের পর ত্বকে আর কিছুই ব্যবহার করা যাবে না।

টি ট্রি অয়েল ব্যবহারের আগে ফেসপ্যাক

ব্রণ বা দাগের জন্য প্রতিদিন রাতেই ঘুমানোর আগে ব্যবহার করা যাবে টি ট্রি অয়েল। এ ছাড়া সপ্তাহে এক দিন ফেসপ্যাক ব্যবহারেও পাওয়া যাবে সুফল। দুই টেবিল চামচ বেসন, এক চামচ দারুচিনি গুঁড়া ও ঘন মিশ্রণ তৈরির জন্য মধু। প্যাকটি ধুয়ে ফেলার পর যথাক্রমে টোনার, ময়েশ্চারাইজার বা সিরাম ও শেষে টি ট্রি অয়েল ব্যবহারে কমবে ব্রণ ও ব্রণের দাগ।

টি ট্রি অয়েলে ত্বক ও চুলের যত্ন

মাথার ত্বকে ব্যবহারের নিয়ম

মাথার ত্বকে ব্যবহারের আগে টি ট্রির গুণাগুণ আছে, এমন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারলে ভালো হয়। এবার একটি লেবুর রস, নারিকেল তেল ও পাঁচ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল দিয়ে মাথার ত্বকে মিশ্রণটি ম্যাসাজ করতে হবে। এবার চিরুনি দিয়ে হালকাভাবে আঁচড়ে খুশকি যতটা সম্ভব তুলতে হবে। এখন মাথায় স্টিম নিলে রোমকূপ খুলে যাবে এবং এভাবে নারিকেল তেল ও টি ট্রি অয়েলের উপকারী উপাদান ত্বকের তিন ধাপ নিচ পর্যন্ত পৌঁছাবে।

টি ট্রি অয়েলে ত্বক ও চুলের যত্ন

টি ট্রি অয়েলের আগে হেয়ার প্যাক

একটি পাকা কলা, দুই টেবিল চামচ টক দই, একটি ডিমের সাদা অংশ ও মধু একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার প্যাকটি ব্যবহারের পালা। শুকিয়ে গেল শ্যাম্পু করে পরে তৈরি করা টি ট্রি অয়েলের মিশ্রণটি চুলে ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.