‘অসাধারণ এক গোল’—খেলা শেষে বার্নলির বিপক্ষে ব্রুনো ফার্নান্দেজের ম্যাচ জেতানো গোল নিয়ে কথাটি বলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ। প্রতিপক্ষ কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি বললেন, ‘প্রিমিয়ার লিগের এক খেলোয়াড়ের দুর্দান্ত একটি মুহূর্ত।’
তবে সাবেক বার্নলি গোলরক্ষক পল রবিনসন আরেকটু বাড়িয়েই বললেন বোধ হয়, ‘আমরা ব্রুনো ফার্নান্দেজের কাছ থেকে মৌসুমের সেরা গোলগুলোর একটি দেখলাম। আমি জানি, এই কৌশলকে কাজে লাগানো কতটা কঠিন। সে এটিকে নিচে নামানোর বা স্পর্শ করার চেষ্টা করেনি, সরাসরি ভলি করেছে। এই শট থামানোর জন্য বার্নলি গোলরক্ষক কিছুই করতে পারত না।’
টার্ফ মুরে ম্যাচ জেতানো গোলের পর এভাবেই প্রশংসায় ভাসছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ইউনাইটেডের সমর্থকেরা হয়তো গোলের সৌন্দর্যের চেয়ে জয়ে ফেরার কারণে বেশি স্বস্তি বোধ করছেন। এ ম্যাচের আগে টানা তিন হারে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল তারা। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছিল বেশ, এমন পরিস্থিতিতে দলকে জয়ে ফেরানোর জন্য হয়তো এমন একটি গোলেরই প্রয়োজন ছিল!
এ ম্যাচের আগে প্রিমিয়ার লিগে ৫ ম্যাচে ৩ হার ও ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে নেমে গিয়েছিল ইউনাইটেড, শুনতে হয়েছিল দুয়োও। এরপর চ্যাম্পিয়নস লিগেও নিজেদের প্রথম ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে যায় ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটি। সব মিলিয়ে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ইউনাইটেড। ফার্নান্দেজের গোল সেই বিপর্যয় থেকে কিছুটা হলেও টেনে তুলল ‘রেড ডেভিল’দের। এ জয়ে ৬ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে এখন ৮ নম্বরে উঠে এসেছে তারা।
এ ম্যাচে অবশ্য শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে ইউনাইটেড। তবে বল দখলে এগিয়ে থেকে বার্নলিও জবাব দিচ্ছিল দারুণভাবে। শুরুতে দুই দলই একাধিক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে। আর ভিএআরের কারণে বাতিল হয়েছে ইউনাইটেডের একটি গোলও। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে গোলমুখ খুলতে প্রয়োজন হলো ফার্নান্দেজের দুর্দান্ত এক প্রদর্শনীরই। প্রায় মাঝমাঠ থেকে জনি ইভানসের ক্রসে দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন ইউনাইটেড অধিনায়ক ফার্নান্দেজ। এ গোলই মূলত পার্থক্য গড়ে দেয় ম্যাচে, ইউনাইটেড পায় স্বস্তির এক জয়।