ঝালকাঠিতে পূর্ববিরোধের জেরে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

0
137
তরিকুল ইসলাম (৪০

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পূর্ববিরোধের জেরে তরিকুল ইসলাম (৪০) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে শহরের হাইস্কুল সড়কে এ ঘটনা ঘটে। তরিকুলের পরিবারের অভিযোগ, প্রতিপক্ষ দিদারুল আলমের লোকজন তরিকুলকে হত্যা করেছেন।

নিহত তরিকুল ইসলাম পৌরসভার শীতলপাড়া এলাকার মৃত আমজেদ হোসেন হাওলাদারের ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তরিকুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশ জানায়, তরিকুল ইসলামের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগ কর্মী দিদারুল আলমের বিরোধ চলছিল। দিদারুল সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দুলাল শরীফের জামাতা। গতকাল রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে তরিকুল, জাফর ও মিলটন একটি মোটরসাইকেলে শহরের হাইস্কুল সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন।

এ সময় দিদারুল আলমের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন যুবক এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে তরিকুলকে আহত করেন। প্রাণে বাঁচার জন্য তরিকুল দৌড়ে একটি দোকানে আশ্রয় নেন। হামলাকারী ব্যক্তিরা সেখানে গিয়ে তরিকুলকে দ্বিতীয় দফায় কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার আফরুজুল হক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদল যুবক তরিকুলের মোটরসাইকেল থামিয়ে তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় তরিকুলের সঙ্গে থাকা জাফর ও মিলটন নামের দুই যুবক পালিয়ে যান।

তরিকুলের বোন সাবেক পৌর কাউন্সিলর শিউলী পারভীন বলেন, ‘আমার একমাত্র ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দিদারুল আলম ওরফে মুন্নার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, পুলিশ তাঁদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করুক। তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বোন বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আর দিদারুলের শ্বশুর দুলাল শরীফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.