জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আজ সোমবার এই রায় দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাহেদের আইনজীবী এ বি এম খায়রুল কবির।
এর আগে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে করা এক মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ওই রায় দিয়েছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এ মামলায় গত ১০ আগস্ট যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। রায় ঘোষণার পর সাহেদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ মামলায় গত বছরের ১৭ এপ্রিল আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে ১০ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর দুদক এক নোটিশে সাহেদকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁর সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলে। কিন্তু সাহেদ নির্ধারিত সময়ে তাঁর সম্পদের বিবরণী জমা দেননি। পরবর্তী সময়ে সাহেদকে আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। এরপরও তিনি তাঁর সম্পদের বিবরণী জমা দেননি। এমন প্রেক্ষাপটে অনুসন্ধানের পর সাহেদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।
রিজেন্ট হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির মামলায় ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব।
পরে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সাহেদকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল ও মাদক উদ্ধার করে।