জীবিত রাসেলস ভাইপার নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে, এরপর যা হলো

0
72
ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকায় আটক রাসেলস ভাইপার নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে কৃষক রেজাউল খান। শনিবার রাতে

আওয়ামী লীগ নেতার ঘোষিত পুরস্কারের আশায় ফরিদপুরে জীবিত একটি রাসেলস ভাইপার ধরেছেন কৃষক রেজাউল খান (৩২)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সাপটি নিয়ে আসা হয় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে।

ফরিদপুরে প্রতিটি রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) মারার বিপরীতে গত বৃহস্পতিবার ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

রেজাউল খান সাংবাদিকদের জানান, গতকাল বিকেলে আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে চাষ করার সময় রাসেলস ভাইপারটি দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সেটিকে অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে ভরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দেন।

ফরিদপুর পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন বলেন, সাপ ধরার বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাপটি বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যেতে বলেছেন।

তবে আজ রোববার দুপুরে ওই সাপ জমা দিয়ে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নেওয়ার জন্য বন বিভাগে নেওয়া হলে বন বিভাগ পত্র দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। কৃষক রেজাউল খান ফরিদপুর সদরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার বাসিন্দা মনোরুদ্দিন খানের ছেলে।

ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, সরীসৃপজাতীয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান নেই। ধরাটাই অপরাধ। কারও জালে আটকে গেলে সে অন্য কথা। তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র দিতে পারি না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত তিনজন পুরস্কারের আশায় বন বিভাগে এক হাত লম্বা দৈর্ঘ্যের বাচ্চা রাসেলস ভাইপার জমা দেওয়া চেষ্টা করছে। এ নিয়ে আমরা বিপদে পড়েছি।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.