জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

0
700
ছবি: বিসিবি

সাগরিকায় দুপুর থেকে ছিল কাঠ ফাঁটা রোদ। ওই সুবিধা নিতে টস জিতে বোলিং নেয় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে বলে শিশির জড়াবে। নরম হয়ে আসবে বল। পেস কিংবা স্পিন কোনটাতেই সুবিধা করতে পারবে না বাংলাদেশ। প্রকৃতি জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের ধারণা মতোই কাজ করেছে। মুস্তাফিজ-সাকিবদের পরে বল করতে অসুবিধা হয়েছে। কিন্তু শুরুতে সাইফউদ্দিন, সাকিব, শফিউল এবং অভিষেক হওয়া আমিনুল জিম্বাবুয়ে শিবিরে যে ধাক্কা দেন সেটাই সামলে উঠতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে তাই ৩৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে।

এ জয়ে তিন ম্যাচে দুই জয়ে ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে আফগানিস্তানেরও ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে। দু’দলই এখন পর্যন্ত দুটি করে ম্যাচ জিতেছে। অন্য দিকে গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হেরে বৈশ্বিক আসরে আইসিসির নির্বাসন পাওয়া জিম্বাবুয়ের খালি হাতে ফেরা নিশ্চিত হয়েছে। তাদের সামনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটা ম্যাচ আছে। জিম্বাবুয়ের বিদায়ী অধিনায়ক মাসাকাদজা চাইবেন একটা জয় পেতে। দেশের ক্রিকেটে একটু স্বস্তির বাতাস এনে দিতে।

বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহর দারুণ এক ইনিংস ও লিটন দাস-মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে ওপেনার লিটন দাস ছোট্ট এক ঝড়ে ২২ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারে ৩৮ রান করেন। নাজমুল হোসাইনের সঙ্গে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। এরপর নাজমুল, লিটন এবং সাকিব পরপর ফিরে যান। তবে ভিত্তি পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

সেখানে দাঁড়িয়ে মাহমুদুল্লাহ এবং মুশফিক ৭৮ রান যোগ করেন। মাহমুদুল্লাহ ৪১ বলে পাঁচ ছক্কা ও এক চারে ৬২ রান করেন। মুশফিক খেলেন ৩২ রানের ইনিংস। জবাব দিতে নামা জিম্বাবুয়ে ঠিক ইনিংসের শেষ বলে ১৩৬ রানে অলআউট হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মাতুনবামি। এছাড়া হ্যামিলটন মাসাকাদজা ২৫ রান ও কাইল জার্ভিস ২৭ রান করেন।

বাংলাদেশ দলের হয়ে টি-২০ তে ফেরার ম্যাচে শফিউল ইসলাম ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে দেন ৩৮ রান। নেন দুই উইকেট। টি-২০ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে পঞ্চাশ উইকেটের (৫১ উইকেট) মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। অন্য দিকে অভিষেক ম্যাচে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে নতুন কিছুর ইঙ্গিত দিলেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে কাইল জারভিস ৩ উইকেট নেন। ক্রিস এমপফু নেন দুই উইকেট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.