সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং এর ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রয়াত নেতাদের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়।
সাংবাদিকদের হাছান মাহমুদ বলেন, এখন আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে। জাহাজ উদ্ধার এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিকদের সুস্থভাবে মুক্ত করার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরা কোন প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছি, সেটা বলতে চাই না। এটি জনসম্মুখে প্রকাশ করার বিষয় নয়।
কয়েক দিন আগে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির শতাধিক সদস্য আবারও পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাদের ফেরত পাঠানোর অগ্রগতি জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর আগেও তারা এসেছিল। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তাদের একইভাবে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।
এর আগে রাঙ্গুনিয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াকিল আহমদ তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কাজী জসিম ও নুরুল করিম বেবি চৌধুরীর স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল, গণমানুষের দল। যাদের স্মরণে আজকের এই স্মরণসভা, তারা সবাই রাঙ্গুনিয়ায় আওয়ামী লীগকে দুঃসময়ে সংগঠিত করেছিল।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তালুকদার ও যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ সেকান্দর হোসেন চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, প্রয়াত নেতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ডা. সুলতান মাহমুদ, ঈসা মোহাম্মদ সিরাজ, কাজী মো. হাশেম, মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ।