জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু আগামী ১৮ জুন, চলবে ২২ জুন পর্যন্ত। পূর্বের মতো এবারও ভর্তি পরীক্ষায় একাধিক পালায় (শিফট) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান নিশ্চিত করেন।
আবু হাসান বলেন, আগের মতো এ বছরও শিফট পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ থেকে ২২ জুনের মধ্যে হবে এ পরীক্ষা।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান আরও বলেন, ‘ছেলে ও মেয়ে আলাদা শিফটে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে কিছু জটিলতা থাকায় আমরা পরে আলোচনা করব। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ক্যাম্পাসের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে শুরু হওয়া জাবি ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপ্রক্রিয়া চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে গিয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
এ বছর মোট ছয়টি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিটের অধীন গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি), বি ইউনিটে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদ, সি ইউনিটে কলা ও মানবিকী অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট, সি১ ইউনিটে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ, ডি ইউনিটের অধীন জীববিজ্ঞান অনুষদ এবং ই ইউনিটের অধীন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) আবেদনের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, পালা পদ্ধতিতে মেধার অবমূল্যায়ন হয় আখ্যা দিয়ে এটি বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। পালা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার দাবিতে তাঁরা বিভিন্ন সময় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি ও মানববন্ধন করেছেন। এ বছরও এই পালা পদ্ধতি বহাল রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়। তিনি বলেন, ‘শিফট পদ্ধতি অনিবার্যভাবে বৈষম্য তৈরি করে। সুস্পষ্ট সত্যটাকে জানার পরও প্রশাসনের শিফট পদ্ধতি বাতিল করতে না পারাটা চরম দেউলিয়াত্বের প্রমাণ। আমরা এবারও যদি বৈষম্যের শিফট পদ্ধতিতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চনা হতে দেখি, তাহলে সব দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব। যেকোনো বিবেকবান মানুষেরই এই লড়াই করাটা উচিত।’