জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় দিনের মতো নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। পোষ্যদের ভর্তির ক্ষেত্রে বিভাগীয় শর্ত বাতিল করাসহ ১৪ দফা দাবিতে আজ রোববার সকাল ৯টায় তৃতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
এদিকে কর্মসূচি শুরুর পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে আন্দোলনস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম। এ সময় তিনি কর্মচারীদের সঙ্গে আজ বেলা দুইটায় আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তবে এরপরও অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক বিপ্লব খান বলেন, ‘উপাচার্য স্যার এসেছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দুপুরে আলোচনায় বসবেন। আলোচনায় দাবি না মানলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
১৪ দফা দাবিতে এর আগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন কর্মচারীরা।
আন্দোলনকারীদের ১৪ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নৈশ ভাতা এবং সব কর্মচারীর ওভার টাইম বেসিক হারে প্রদান করা, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের স্থায়ী করা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং, উইকেন্ডসহ সব ডিগ্রির সার্টিফিকেট আমলে নিয়ে কর্মচারীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, বাসচালকদের মতো বাসের হেলপার, কন্ডাক্টরদের মাসিক ২৫০ ঘণ্টা ওভার টাইম প্রদান, সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটির টাকা ওভার টাইম হিসেবে প্রদান, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পুরোনো বাসাভাড়া কমানো, হল অ্যাটেনডেন্টদের উৎকালীন (ক্যাম্পাস বন্ধ থাকাকালীন তাঁদের কাজ) ভাতা ১ হাজার ২০০ টাকার পরিবর্তে দৈনিক ২৪০ টাকা হারে ওভার টাইম প্রদান করা, ক্যাম্পাসে একটি নতুন পাবলিক বা প্রাইভেট ব্যাংকের শাখা খোলা ইত্যাদি।