কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হামলায় আহত পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি সেখানে ছয় দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সঞ্জয় কুমারের ছোট ভাই সম্পদ কুমার প্রামাণিক বলেন, ‘দাদা আর নেই। মর্গের সামনে আছি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ভেড়ামারায় নেওয়া হবে।’
সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (ভেড়ামারা সার্কেল) নেতৃত্বে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলামসহ সেখানে অনেক পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বুধবার রাত ১১টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলা খাদ্যগুদাম এলাকায় পূর্ববিরোধের জেরে ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার প্রামাণিককে (৩৭) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে গেলে সঙ্গে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী বেলাল হোসেন ওরফে রিপন (৩৬) ও শ্যামল আলী (৩৫) আহত হন। তাঁদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সঞ্জয় কুমারের অবস্থার অবনতি হলে গত শুক্রবার বিকেলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। এরপর আজ বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।
মন্দিরে পূজার সময় মেলা পরিচালনাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) যুবজোটের জেলা ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে শোভনের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের স্ত্রী বীথি রানি দে বাদী হয়ে যুবজোট নেতা মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনকে। মামলায় গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুর বর্তমানে কারাগারে।
ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এ জন্য ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মামলায় পাঁচজন আসামি কারাগারে, বাকিরা জামিন পেয়েছেন।