তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের অঘোষিত ফাইনালে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি টাইগাররা। তবে জাকেরের লড়াই ও শেষের ঝড়ে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২১ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ডাক আউট হন প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা পারভেজ হোসেন ইমন।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি লিটন কুমার দাসও। ১০ বলে ১৪ রান করে ফেরেন এই টাইগার অধিনায়ক। ৯ বলে ২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শেখ মাহেদী।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন তানজিদ হোসেন তামিম। কিন্তু ফিফটি তুলতে পারেননি তিনি। ১৮ বলে ৪০ রান করে বোল্ড আউট হন তামিম। এরপর শামীমকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন জাকের আলী।
কিন্তু ১২ বলে ৯ রান কট আউট হন শামীম। এতে দলীয় ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। দুই বল পরেই সাজঘরে ফেরেন রিশাদ। তবে তানজিম সাকিবকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন জাকের আলী। ৬ বলে ১২ রান করে সাকিব বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়লে পিচে আসেন হাসান মাহমুদ।
দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পর করে বাংলাদেশ। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি জাকের। ১৯তম ওভারের প্রথম ছক্কা মরার পর বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
শেষ দিকে ব্যাট চালাতে থাকেন শরিফুল ও হাসানও। হাসান মাহমুদের ১৪ বলে ২৫ রান এবং শরিফুল ইসলামের ৭ বলের অপরাজিত ১৬ রানে ভর করে ১৫৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন হায়দার আলী। মতিউল্লাহ খান ও সগির খান দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও আকিভ রাজা ও ধ্রুব নেন একটি করে উইকেট।