ঋণ পুনঃ অর্থায়নে পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের দ্বারস্থ আদানি গোষ্ঠী

0
104
আদানি সাম্রাজ্যের কর্নধার গৌতম আদানি

এবার ঋণের পুনঃ অর্থায়ন চায় ভারতের আদানি গোষ্ঠী। এসিসি লিমিটেড ও আমবুজা সিমেন্টের শেয়ার কেনার জন্য গত বছর তারা যে ৩৮০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল, সেই ঋণদাতাদের জোটে এবার তারা অন্তত পাঁচটি আন্তর্জাতিক ব্যাংককে নিয়ে আসতে চায়। এসব ঋণ বিভিন্ন মেয়াদে নিয়েছিল তারা। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ব্যক্তির সূত্রে এই খবর দিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।

জানা গেছে, এই ঋণের পুনঃ অর্থায়ন কার্যক্রমে আদানি গোষ্ঠীর শীর্ষ ঋণদাতা ব্যাংকগুলো অংশ নেবে, যেমন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, বার্কলেস ও ডয়চে ব্যাংক। একই সঙ্গে আদানি গোষ্ঠী দুটি তাইওয়ানের ব্যাংক ও মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের সঙ্গেও আলোচনা করছে। সম্ভাবনা আছে, এতে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা তিন বছর বাড়বে।

সূত্রের তথ্য অনুসারে, ‘ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর বৈঠক চলছে এবং আদানিরা আশা করছে, জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় এসব গোষ্ঠীর সঙ্গে ঋণ চুক্তি হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ইকোনমিক টাইমস আদানি গোষ্ঠীকে ই-মেইল পাঠিয়ে সোমবার ছাপার সময়ের আগপর্যন্ত উত্তর পায়নি। তবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, বার্কলেস ও ডয়চে ব্যাংক মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ঋণ পরিশোধে নতুন শর্ত নির্ধারণে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যমান ঋণদাতারা রাজি হলেও তারা ঝুঁকি এড়াতে আরও কিছু ব্যাংককে এই ঋণ জোটে আনতে চাইছে। এ ছাড়া নতুন কিছু ব্যাংক এই ঋণপ্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করলে আদানি গোষ্ঠীর ঋণ যোগ্যতা নিয়ে অন্যদের মনেও ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হবে।

চলতি বছরের শেষ দিকে আদানি গোষ্ঠী বিদেশের বন্ড বাজার থেকে আরও কিছু অর্থ সংগ্রহ করবে। এর আগে ঋণের জোটে নতুন আরও কিছু ব্যাংক যোগ দিলে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে, ইকোনমিক টাইমসকে এ কথা বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উল্লিখিত ঋণের প্রথম কিস্তি পরিশোধের কথা।
এর আগে ২৮ মার্চের সংবাদে বলা হয়, আদানি গোষ্ঠী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক হোলসিম গ্রুপের কাছ থেকে এসিসি ও আমবুজা সিমেন্টের অংশীদারত্ব কেনার জন্য নেওয়া এই ঋণের শর্ত নিয়ে পর্যালোচনা করছে। ৩৮০ কোটি ডলারের মধ্যে ৩০০ কোটি ডলারের ঋণের মেয়াদ তারা দেড় বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করতে চাইছে, এমন খবর তখনই প্রকাশিত হয়।

এ ছাড়া আদানি গোষ্ঠী আরও ১০০ কোটি ডলারের মেজামাইন ঋণের (ইকুইটিতে রূপান্তরযোগ্য ঋণ) মেয়াদও বাড়াতে চাইছে। ভারতের করপোরেট ঋণের ক্রেতারা সেকেন্ডারি ঋণের বাজারে অনেক দিন ধরে থাকলেও তাইওয়ানের ব্যাংকগুলো সরাসরি ঋণ দিচ্ছে। এপ্রিল মাসে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও রিলায়েন্স জিও ইনফোকম ৫৫টি ব্যাংকের জোট থেকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে, যার মধ্যে তাইওয়ানের ব্যাংকই ছিল এক ডজনের বেশি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.