ছয় ব্যাংককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি, কাজে ফিরবেন ট্রেজারিপ্রধানেরা

ডলারে অতি মুনাফা

0
158
ডলার, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ব্যাংকের এমডিরা এই পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন আর এমন ভুল হবে না বলে জানিয়েছেন। এ জন্য বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ফলে এই ছয় ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানদেরও কাজে ফিরতে সমস্যা নেই।’

মার্কিন ডলার কেনাবেচায় অতিরিক্ত মুনাফা করে বাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগে গত ১৭ আগস্ট দেশি-বিদেশি এই ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্পদ দায় ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী, ট্রেজারি বিভাগের রিপোর্টিং প্রধান সরাসরি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাই কেন ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী, ব্যাংকের পরিচালক ও এমডিদের অপসারণ করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আর ৮ আগস্ট দেশি-বিদেশি এই ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেজারি বিভাগ ব্যাংকের টাকা ও ডলারের জোগান-চাহিদার বিষয়টি নিশ্চিত করে থাকে। ট্রেজারি বিভাগের প্রধান পদে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাও ছিলেন।

এসব সিদ্ধান্ত ও ডলার বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে বিদেশি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করে। ব্যাংকগুলোকে নতুন করে ঋণসুবিধা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। আবার কোনো কোনো ব্যাংক যে ঋণসীমা (ক্রেডিট লাইন) দিয়ে রেখেছিল, তা-ও ব্যবহার করতে দিচ্ছে না বিদেশি ব্যাংকগুলো। ফলে বাংলাদেশের কিছু ব্যাংক আমদানির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছে—আমদানিতে খরচও বেড়ে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপগুলো প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে।

সানাউল্লাহ সাকিব

ঢাকা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.