অ্যালিস্টারের এই উত্থানটা অবশ্য মুহূর্তের কোনো চমক নয়। বাবা কার্লোস জেভিয়ার অ্যালিস্টার নিজেই ছিলেন ফুটবলার। খেলেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনার সতীর্থ হয়ে। অ্যালিস্টারের ক্যারিয়ার শুরুর সঙ্গেও রয়েছে ম্যারাডোনা-যোগ। যে ক্লাবের হয়ে ম্যারাডোনা বল পায়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেই আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে নিজের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন অ্যালিস্টার। ম্যারাডোনার মতো না হলেও কিছু সময়ের জন্য ছিলেন বোকা জুনিয়র্সেও। এখন এই অ্যালিস্টারকেই মনে করা হচ্ছে আর্জেন্টাইন ফুটবলের ভবিষ্যৎ।
প্রথমবার মেসির সঙ্গে দেখা হওয়ার পর নাকি রীতিমতো কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গিয়েছিল তাঁর। অ্যালিস্টারই শুনিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতার কথা, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আমি সত্যিই অনেক স্নায়ু চাপে ভুগছিলাম। এটা জাদুকরি ব্যাপার যে আমার বাবা খেলেছিলেন ম্যারাডোনার সঙ্গে আর আমি মেসির সঙ্গে। এটা নিয়ে আমরা সত্যি গর্বিত।’
এ বছর জুনে বলেছিলেন, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলে থাকাটাই হবে তাঁর কাছে স্বপ্নপূরণের মতো ব্যাপার। এখন সেই স্বপ্ন ডানা মেলে আরও বড় উড়াল নেওয়ার অপেক্ষায়। সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হারের ম্যাচটা তাঁর কেটেছিল বেঞ্চে বসে। সেই হারের পর চারপাশে অ্যালিস্টারকে একাদশে সুযোগ দেওয়ার রব উঠেছিল। পরের ম্যাচে ঠিকই তাঁকে একাদশে রাখেন স্কালোনি। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ বলেই হয়তো কিছুটা গুটিয়ে ছিলেন।
তবে পরের ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিকই ছন্দে ফেরেন ব্রাইটনের হয়ে নিজেকে চেনানো অ্যালিস্টার। একের পর এক আক্রমণের ঝড় তুলেও আর্জেন্টিনা যখন পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনির বাধা পেরোতে পারছিল না, তখনই দেখা দেখা মেলে অ্যালিস্টার-চমকের। তাঁর গোলেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। সেদিন ২-০ গোলে জেতা ম্যাচটার সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন অ্যালিস্টারই।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ শেষ ষোলোর ম্যাচেও অ্যালিস্টারের একাদশে থাকা প্রায় নিশ্চিত। আরও একবার অ্যালিস্টার চমক দেখাবেন, এমনই প্রত্যাশা আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। এই প্রত্যাশাটাও অ্যালিস্টারই বাড়িয়েছেন।