গ্রুপ পর্বে লড়াইটা শুরু করেছিল ৩২ দল। ধাপে ধাপে ঝরে গিয়ে ফাইনাল খেলেছে ইন্টার মিলান ও ম্যানচেস্টার সিটি। যেখানে ইন্টারকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে ট্রফি হাতে তুলেছে সিটিজেনরা। ২০২২–২৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা দলেও সিটির খেলোয়াড়দের জয়জয়কার। ১১ জনের ৭ জনই ম্যানচেস্টার সিটির। তবে ফাইনালে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখা সিটি গোলরক্ষক এদেরসনের জায়গা হয়নি। গোলপোস্টের সেরা হিসেবে জায়গা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের থিবো কোর্তোয়ার।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের এক দিন পর আজ ‘উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ টিম অব দ্য সিজন’ ঘোষণা করেছে উয়েফার টেকনিক্যাল অবজারভার প্যানেল। একাদশে ম্যানচেস্টার সিটির বাইরে আছেন শুধু রিয়াল মাদ্রিদ ও ইন্টার মিলানের খেলোয়াড়। দুই দলেরই দুজন করে।
ফাইনালে খেলা ইন্টার মিলানের দুই খেলোয়াড়ই রক্ষণভাগের। একজন আলেহান্দ্রো বাস্তোনি, আরেকজন ফেদেরিকো দিমারকো। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া রিয়াল মাদ্রিদ দল থেকে একাদশে আছেন কোর্তোয়া ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ভিনিসিয়ুস ৭ গোলের পাশাপাশি আরও ৬ গোলে সহায়তা করেছেন। রিয়াল ও ইন্টারের ৪ জনের বাইরে মাঠের তিন অংশেই সিটি খেলোয়াড়দের ছড়াছড়ি। চারজন দিয়ে গড়া রক্ষণভাগে ইন্টারের দুজনের সঙ্গে আছেন সিটির কাইল ওয়াকার ও রুবেন দিয়াজ। মাঝমাঠ পুরোটাই সিটির। এখানে জন স্টোনস ও কেভিন ডি ব্রুইনার সঙ্গে জায়গা হয়েছে ফাইনালের নায়ক রদ্রি। আর ফরোয়ার্ডে ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে অপর দুইজন আর্লিং হলান্ড ও বের্নার্দো সিলভা। হলান্ড এ মৌসুমের সর্বোচ্চ ১২ গোল করেছেন।
সেরা একাদশে সিটি খেলোয়াড়দের আধিক্যের বড় কারণ টুর্নামেন্টজুড়ে তাদের দাপট। ২০০৭-০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জিতেছে পেপ গার্দিওলার দল।
চ্যাম্পিয়নস লিগের মৌসুমসেরা একাদশ:
গোলরক্ষক: থিবো কোর্তোয়া (রিয়াল মাদ্রিদ)
ডিফেন্ডার: কাইল ওয়াকার (ম্যান সিটি), রুবেন দিয়াজ (ম্যান সিটি), আলেহান্দ্রো বাস্তোনি (ইন্টার মিলান), ফেদেরিকো দিমারকো (ইন্টার মিলান)
মিডফিল্ডার: জন স্টোনস (ম্যান সিটি), কেভিন ডি ব্রুইনা (ম্যান সিটি), রদ্রি (ম্যান সিটি)
ফরোয়ার্ড: বের্নার্দো সিলভা (ম্যান সিটি), আর্লিং হলান্ড (ম্যান সিটি), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ)