প্রতিহিংসা থেকে বাবুর পরিকল্পনায় সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা: র‌্যাব

0
217
ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও ক্ষোভ থেকে সাংবাদিক নাদিমকে উচিত শিক্ষা দিতে হত্যার পরিকল্পনা

ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও ক্ষোভ থেকে সাংবাদিক নাদিমকে উচিত শিক্ষা দিতে হত্যার পরিকল্পনা করে চেয়ারম্যান বাবু। হত্যার দিন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্নস্থানে বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। এছাড়া ঘটনার পাশে থেকেই হত্যার নির্দেশনা দিয়েছেন বাবু।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।

তিনি বলেন, জামালপুরের সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে (৫০) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া তার সহযোগী মনিরুজ্জামান মনির মনিরুল (৩৫), জাকিরুল ইসলাম (৩১) ও রেজাউল করিমকেও (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে শনিবার বিকেলে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থেকে আরেক আসামি রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুইজনকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।

খন্দকার আল মইন বলেন, গ্রেপ্তার রেজাউল, মনির ও জাকির মাহমুদুল হাসান বাবুর সন্ত্রাসী গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। রেজাউল দৌড়ে গিয়ে নিহত নাদিমকে ধাক্কা দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়। এরপর বাবুর নির্দেশে তারা নাদিমকে বেদম প্রহার করতে থাকে। এক পর্যায়ে পাশের একটি অন্ধকার গলিতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং এলোপাতাড়ি আঘাত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তাদের বিরুদ্ধে জামালপুরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

এর আগে এদিন ভোরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান বাবুসহ তিনজনকে আটক করে র‍্যাব।  শনিবার হত্যার ঘটনায় সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তারপর বাবুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুর নানা অপকর্ম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন বাংলানিউজ ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক নাদিম।

সংবাদ প্রকাশের জেরে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে নাদিমের বিরুদ্ধে মামলাও করেন বাবু। আদালত ওই মামলা খারিজ করে দেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গত ১৪ জুন রাতে নাদিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যান বাবু ও তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত হামলার নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সাংবাদিক নাদিমের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.