সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনে এক নির্মাণশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে হাত–পা বাঁধা আরও এক শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
=আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে নয়ন (২০) নামের ওই শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথের বাসিন্দা। এ সময় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নির্যাতনের শিকার আরেক শ্রমিকের তথ্য পাওয়া যায়। পরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় আইয়ুব আলী নামের ওই শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ ঠিকাদারসহ চারজনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন কুড়িগ্রাম কচাকাঁটা থানাধীন নারায়ণপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম, একই গ্রামের আয়নাম, সাবান আলী ও দিনাজপুর বিরল থানার তেঘারা গ্রামের রুবেল মিয়া।
ভবনে কাজ করা ফজলুল হক নামের এক নির্মাণশ্রমিক বলেন, নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদারের লোকজন থাকেন। তাঁদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আর মুঠোফোন চুরির অভিযোগ এনে আজ সকাল ছয়টার দিকে একটি কক্ষের দরজা বন্ধ করে নির্যাতন করা হয়। শুধু সন্দেহের জেরে নয়ন ও আইয়ুব আলীকে নির্যাতন করা হচ্ছিল। নয়ন গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নতুন কাজ শুরু করেছিলেন। আর তাঁকে এনেছিলেন আইয়ুব আলী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আইয়ুব আলী বলেন, ‘নয়ন মারা যাওয়ার আগে পানি চেয়েছিল, কিন্তু নির্যাতনকারীরা তাকে পানি পর্যন্ত খেতে দেয়নি।’
সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মাণাধীন ভবনে চুরির অভিযোগে নয়ন নামের এক শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ঠিকাদারসহ চারজনকে আটক করেছে।