দেশে বন্যা পুনর্বাসনে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে এডিবি

0
166
এডিবি

বাংলাদেশে ২০২২ সালের মে–জুনের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন কার্যক্রমের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২৩০ মিলিয়ন বা ২৩ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণসহায়তা দিচ্ছে। এই ঋণসহায়তা স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৫ টাকা ধরে)।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি আজ সোমবার একটি ঋণচুক্তি সই করেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান ও বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং চুক্তিতে সই করেন।

এডিবি আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, বন্যা পুনর্গঠন জরুরি সহায়তা প্রকল্পের অধীনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, সিলেট প্রভৃতি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর পুনর্গঠন, স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে এই ঋণসহায়তা ব্যবহার করা হবে। গত ২০২২ সালের মে-জুন মাসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। এতে বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলীয় হাওর অঞ্চলের ৭ দশমিক ২ মিলিয়ন বা ৭২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, প্রকল্পটির আওতায় জলবায়ুসহিষ্ণু উদ্ভাবনী অবকাঠামো জোরদারের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো মোকাবিলা করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্প ৭৯ হাজার ২৩৩ হেক্টর জমিতে বন্যার ঝুঁকি হ্রাস করে বাংলাদেশের বন্যা-আক্রান্ত উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে জীবনযাত্রার অবস্থা ও জীবিকার উন্নয়নে সহায়তা করবে। এর ফলে কমপক্ষে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে জলবায়ু-সহনশীল সেচ অবকাঠামো এবং জল সরবরাহ পরিষেবার উন্নতি ঘটবে; ৭৫৭ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা, ৩৪ কিলোমিটার রেলপথ ও ৮০ কিলোমিটার নদীর বাঁধ এবং ১১ হাজার ৯০০টি নলকূপ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন এবং ১ লাখ গাছ লাগানো হবে।’

স্বনামধন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদারত্বে প্রকল্পটি জলবায়ু অনুযায়ী কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং আর্থসামাজিকভাবে অনুন্নত হাওর অঞ্চলের বন্যাদুর্গত মানুষদের জীবিকা উপার্জনে সহায়তা করবে। কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে (ফসল ও মৎস্য) দেশে খাদ্যনিরাপত্তা, পুষ্টির ব্যবস্থা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও গ্রামীণ জীবিকা বৃদ্ধি করবে। প্রকল্পটির অবকাঠামোগত নকশা এমনভাবে করা হবে, যা বয়স্ক, নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যবহারে নিরাপত্তা দেবে। প্রকল্পটির আওতায় পানি ব্যবস্থাপনা ও সৌরবিদ্যুৎ–চালিত সেচ ব্যবহারেও জোর দেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.