চীনে আবারও কিছু সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে আইফোন ও বিদেশি প্রযুক্তি কর্মস্থলে ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের অন্তত আটটি প্রদেশের বেশ কয়েকটি সংস্থা ও সরকারি দপ্তরে কর্মরত কর্মীদের দুই মাস ধরে স্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি ডিসেম্বরেই ঝেজিয়াং, শানডং, লিয়াওনিং ও সেন্ট্রাল হেবেইয়ের কর্মীদের মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আবার বিশ্বের বড় আইফোন প্রস্তুতকারক কারখানাগুলো সব প্রদেশেই অবস্থিত।
এ বিষয়ে অ্যাপলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে অন্তত তিনটি মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থার কর্মীদের কর্মস্থলে আইফোন না আনার কথা নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নিরাপত্তার অজুহাতে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, চীনের ভিডিওনির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক নিষিদ্ধ করেছে তারা। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশও সরকারি কর্মীদের টিকটক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোয় চীনা প্রযুক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব দিতেই আইফোনসহ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের তৈরি সব ধরনের ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে চীন।
এদিকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের দেশের প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সুরক্ষাসংক্রান্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছে। তাদের আশঙ্কা, সংবেদনশীল ডেটা হাতিয়ে নেওয়াসহ সরকারি অবকাঠামোতে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটতে পারে।