চীনের হুঁশিয়ারির মধ্যে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

0
220
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন

ম্যাকার্থির সঙ্গে সাইয়ের বৈঠক হলে ‘পাল্টা পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। গতকাল বেইজিং এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, সাই ও ম্যাকার্থির মধ্যে যেকোনো বৈঠকের তীব্র বিরোধিতা করে চীন।

বেইজিংয়ের এমন হুঁশিয়ারির জবাবে চীনকে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখানোর জন্য সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

চীনের দাবি, তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেইজিংয়ের ‘এক চীন’ নীতির অধীনে একদিন এই অঞ্চলটিকে তারা নিজেদের সঙ্গে একীভূত করবে। চীনের এই নীতির অধীনে কোনো দেশ একসঙ্গে বেইজিং ও তাইপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে না।

গতকাল নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর সাইকে হোটেলে যেতে দেখা যায়। সেখানে বেইজিংপন্থী বেশ কিছু বিক্ষোভকারী চীনের পতাকা নিয়ে জড়ো হন। কাছাকাছি স্থানে তাইওয়ানপন্থী লোকজন ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন।

ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জু জুয়েইউয়ান বলেছেন, সাইয়ের সফর নিয়ে তিনি একাধিকবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। তিনি তাঁদের সতর্ক করে বলেছেন যে সাইয়ের সফর চীনের মৌলিক স্বার্থ লঙ্ঘন করবে।

চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, ‘আমরা মার্কিন পক্ষকে তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলার পুনরাবৃত্তি না করার জন্য অনুরোধ করছি।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ম্যাকার্থি বলেছেন, তিনি তাঁর নিজ অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় সাইয়ের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে দুজনের আলোচনার বিষয়টি এখনো তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেনি।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেছিলেন। সে সময় তাঁর সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল চীন। ন্যান্সি পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান ঘিরে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছিল চীন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.