যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে বিয়ের আগের দিন চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় হাইদগাঁও এলাকার রীমা আক্তার (২০)। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রীমার হবু স্বামী মিজানুর রহমান মোরশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাতে সিলেট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মোরশেদ উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত মিজানুর রহমান মোরশেদ নামে এক যুবকের সঙ্গে রীমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ২৮ জুন পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের দিন ঠিক হয়। তবে হবু স্বামীর যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে বিয়ের আগের দিন গত ২৭ জুন রাতে তরুণী আত্মহত্যা করে। তরুণী মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখে যান। এতে যৌতুকের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে লেখা ছিল।
চিরকুটে রীমা লেখেন, ‘প্রিয় শখের পুরুষ, তুমি করো তোমার বিয়ে। অনেক ভালোবেসেছো এবং অতিরিক্ত যন্ত্রণাও দিয়েছ। আমি পারছি না এত যন্ত্রণা নিতে। বাকি জীবনটা সুন্দর করে উপভোগ করতে পারলাম না। ভালো থেকো। আজকের দিনেও তোমার যন্ত্রণা নিতে পারছি না। আমার পরিবার থেকে যে যৌতুকের টাকা তোমাদের দিয়েছে, সেগুলো শোধ করে দিও। তুমি আমাকে বাঁচতে দিলে না।
তিনি আরও লেখেন, আমি বাঁচতে পারতাম যদি বেশি মানসম্মানওয়ালা পরিবারের জন্মগ্রহণ না করতাম। সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও। আর আমার পোস্টমর্টেম করিয়ে সব যন্ত্রণা ধুয়ে-মুছে আমাকে কবরে পাঠিও। আর আমার পরিবারকে বলছি, মোরশেদকে তোমরা ছাড়বা না। ওকে ওর প্রাপ্য শাস্তি তোমরা দেবা।’
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, যৌতুকের চাপ সহ্য করতে না পেরে মেহেদী অনুষ্ঠানের দিন রাতে তরুণী আত্মহত্যা করার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়। ঘটনার পর হবু স্বামী পলাতক থাকলেও অবশেষে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগামী বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।