এবার সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভর্তুকি মূল্যের চিনির দর বাড়িয়েছে। এক লাফে কেজিতে ৩০ টাকা বাড়িয়ে চিনির নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। এর আগে টিসিবিতে চিনির সর্বোচ্চ দর ছিল ৭০ টাকা।
বুধবার টিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চিনির দর বাড়ানোর বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, নিম্নআয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রমজান উপলক্ষ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে দ্বিতীয় পর্বের পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
সরবরাহ না থাকায় গত বছর আগস্টে চিনি বিক্রি করেনি টিসিবি। পরের ২-৩ মাস কিছু কিছু এলাকায় ৭০ টাকা দরে চিনি বিক্রি করে সংস্থাটি। তবে মাঝে গত ২-৩ মাস চিনি বিক্রি বন্ধ ছিল। আগামীকাল থেকে আবার চিনি বিক্রি শুরু হলেও কেজিতে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩০ টাকা।
চিনির দর বাড়ানোর বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, বাজারে এখন চিনির দর বেশি। তাই এ দরের সঙ্গে সমন্বয় করতে টিসিবির চিনির দর বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৪০ থেকে ১৪৫ এবং প্যাকেট চিনি ১৪৫ থেকে ১৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
টিসিবি জানিয়েছে, প্রত্যেক কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে চিনি ছাড়াও ২ লিটার রাইসব্রান বা সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি খেজুর ও ৫ কেজি চাল বিক্রি করা হবে। প্রতি লিটার তেলের দাম ১০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০, চিনি ১০০, খেজুর ১৫০ এবং চাল ৩০ টাকা দরে কিনতে পারবেন কার্ডধারী ক্রেতারা।
ক্রেতারা ডিলারদের স্থায়ী স্থাপনা বা দোকান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। ডিলাররা তাদের সময় নির্ধারিত তারিখ ও সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করবেন।