এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, মার্চ মাসের মধ্যে সব কটি স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া শুরু হবে। আর জুলাই থেকে পুরোদমে শুরু হবে ট্রেন চলাচল। তখন ভোর থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রো ট্রেন চলবে।
উদ্বোধনের পরদিন থেকে সাধারণ যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঢাকায় মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়। প্রথমে মেট্রোরেল শুধু আগারগাঁও ও উত্তরা উত্তর স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিত। পরে মিরপুর-১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন মেট্রোরেলের পল্লবী স্টেশন চালু করা হয়। এখন পর্যন্ত ওই তিনটি স্টেশনেই যাত্রাবিরতি দিচ্ছে মেট্রোরেল।
উত্তরা সেন্টার ও মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন চালু হয়ে গেলে মেট্রোরেলের পাঁচটি স্টেশনের যাত্রা শুরু হবে। তখন শুধু চারটি স্টেশন-‘উত্তরা দক্ষিণ’, ‘মিরপুর-১১’, ‘কাজীপাড়া’ ও ‘শেওড়াপাড়া’ বাকি থাকবে।
গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের লাইন-৬-এর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারে উড়াল রেলপথের মধ্যে উত্তরার (দিয়াবাড়ি) অংশ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে শুধু দুই প্রান্তের (উত্তরা ও আগারগাঁও) স্টেশন থেকে যাত্রী আনা-নেওয়া করলেও গত ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশনও চালু করা হয়।
এ ছাড়া প্রথমে ট্রেন চলত সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তবে পল্লবী স্টেশন চালুর পর থেকে ট্রেন চলাচলের সময়সূচি এবং যাত্রী সংখ্যায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। পল্লবী স্টেশন চালুর আগপর্যন্ত মেট্রোর একটি ট্রেনে সর্বোচ্চ ২০০ যাত্রী পরিবহন করা হতো। পরে এই সীমা তুলে নেওয়া হয়। একই ভাবে সময় আধা ঘণ্টা পিছিয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ এ বছরের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা আছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত অংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সাল নাগাদ।
এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। এর মধ্যে জাইকা দিচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। সরকার ব্যয় করছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।