হিরোশিমায় আজ শুরু হয়েছে আরও একটি ব্যস্ত দিন। গতকাল শুক্রবার জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের প্রথম দিনে বিশ্বনেতাদের আলোচনার বড় অংশ জুড়ে ছিল ইউক্রেনের পরিস্থিতি ও রাশিয়াকে মোকাবিলার প্রসঙ্গ।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর চাপ তৈরি করতে এখন নেতারা মঞ্চে নিয়ে এসেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে। জেদ্দায় আরব লীগের সম্মেলনে যোগ দিয়ে এখন জেলেনস্কি হিরোশিমায় আসছেন। আজ শনিবার জি-৭ নেতাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ করার কথা। আউটরিচ বৈঠকেও তিনি যোগ দিয়ে যুদ্ধে সহায়তা করার আবেদন জানাবেন।
গতকালের বৈঠকে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে জোটের করণীয় সংক্রান্ত রূপরেখা নিয়ে সম্মত হন নেতারা। চূড়ান্ত ঘোষণায় চীনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবস্থানের উল্লেখ থাকবে বলে টোকিও আশা করছে। আজকের একাধিক আলোচনার ফলাফল এর আভাস দেবে।
ধারণা করা হচ্ছে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার আটটি দেশ যখন দ্বিতীয় দিনে সম্মেলনের আউটরিচ অংশে যোগ দেবে তখন তাদের ওপর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চাপ সৃষ্টি করা হতে পারে। কেননা জি-৭ জোট মনে করে সেই দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা মেনে না চলায় রাশিয়ার পক্ষে তা এড়িয়ে যাওয়াই কেবল সম্ভব হচ্ছে না, রাশিয়া একই সঙ্গে এর ফলে লাভবানও হচ্ছে। ফলে গ্লোবাল সাউথ নামে নতুন করে সংজ্ঞায়িত সেসব দেশকে কীভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে রাজি করানো যায় পশ্চিম তা নিয়ে শুরু থেকেই ভেবে আসছে। তবে সমস্যা হলো, নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘের মাধ্যমে আরোপিত না হওয়ায় এর বৈধতা প্রশ্ন সাপেক্ষ রয়ে গেছে।
গতকাল সাতটি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা মধ্যাহ্ন ভোজ করেন। তাঁরা পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্বের ধারণা বাস্তবায়নে তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বিশ্বকে নতুন করে পরমাণু ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়ার জন্য আবারও রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তবে চীন প্রসঙ্গে সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।
গতকাল নেতারা শান্তি স্মৃতি উদ্যানে আণবিক বোমা হামলায় নিহতদের তালিকা সংরক্ষিত সেনিটাফের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তাঁরা শান্তি স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। পরে নেতারা একাধিক বৈঠক করেন।