চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শেরপুর ভান্ডার এলাকায় স্কুলছাত্র সিহাব উদ্দিনকে (১৬) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত সিহাবের বাবা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পরে রাতে মামলার আসামি শেরপুর ভান্ডার গ্রামের মো. সোহেলকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেরপুর ভান্ডার গ্রামের মো. সোহেল, মো. নাহিদসহ ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্যে আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলার দুর্লভপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সিহাব উদ্দিন সাইকেল চালিয়ে শেরপুর ভান্ডার মাজার এলাকায় যাচ্ছিল। সাইকেল চালানোর সময় সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মো. সোহেল, মো. নাহিদসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের সঙ্গে সিহাবের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোহেল ও তাঁর সহযোগীরা বাঁশ ও কাঠের দণ্ড দিয়ে সিহাবের ঘাড়ে আঘাত করেন। এতে সিহাব গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিহাবের মা সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার এক মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে সিহাব সবার ছোট। সবার আগেই সিহাব চলে গেল। অসুখ–বিসুখে মারা গেলে তবুও সান্ত্বনা খুঁজে পেতাম। কিন্তু তাকে হত্যা করা হয়েছে সামান্য কারণে। আমি তার হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি চাই।