চাঁদপুরে ইলিশের ভরা মৌসুমে সরবরাহ কাঙ্ক্ষিত না হলেও ঘাটে প্রতিদিন মাছ আসছে চার থেকে পাঁচ শত মণ। আর গত চার দিনে দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এমতাবস্থায় দাম নিয়ে নাখোশ ক্রেতারা, বেশি হওয়ায় কিনতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। তাদের দাবি, নাগালের বাইরে থাকায় মাছ ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ অঞ্চলের ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু ওইসব মাছ আসলেই কোথায় যাচ্ছে নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তারা। যদিও ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ইলিশের সরবরাহ বাড়লে রফতানিতে প্রভাব পড়বে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুরের ইলিশ বাজারে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। আছেন স্থানীয় ক্রেতারাও। হাঁকডাকে মুখর চারপাশ।
বাজার ঘুরে জানা গেল, কয়েকদিন ধরেই ইলিশের দাম বাড়তি। আকৃতি ভেদে সব মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।

এক ক্রেতা বলেন, গতকালও যেটা নাগালের বাইরে ছিল, সেটা আজ হঠাৎ দাম বেড়ে গেছে। বিভিন্নজন মাছ কিনছে অথচ কোথায় যাচ্ছে জানি না। অন্য আরেকজন বলেন, বাজারে মাছ থাকলেও দাম আকাশছোঁয়া। সেজন্য চড়া দামে কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ইলিশের এখন ভরা মৌসুম। সরবরাহও বেড়েছে ঘাট থেকে হাটে। তাই রফতানির উদ্যোগও নিয়েছে সরকার। ক্রেতাদের দাবি, এই খবরে দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, রফতানি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন পাইকারী ব্যবসায়ীরা মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সেজন্য বড় মাছের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
তবে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, ভরা মৌসুম হলেও মিলছে না পর্যাপ্ত মাছ। যোগান বাড়লে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল বারি জমাদার বলেন, মাছের সরবরাহ অনেক কম। এতে মাছের দামে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে সরবরাহ বাড়লে দামে প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছি।
বর্তমানে বাজারে ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ টাকা কেজিতে। এক কেজির বেশি হলেই দাম হয়ে যাচ্ছে ২,৫০০ থেকে ২,৬০০ টাকার ওপরে।