স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সারাদেশে ডেঙ্গুতে নতুন করে ১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের দিন শুক্রবারে ছিলেন ১ হাজার ৪৪৬ জন।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে পর দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হিসাব করা হয়। গত চব্বিশ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৭০ জন এবং বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ৬০৯ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ৬২ হাজার ৮৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৫ হাজার ৮০০ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখনও ৬ হাজার ২৮৯ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর ৪১ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৫১৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ২ হাজার ৭৭১ রোগী ভর্তি আছেন।
শনিবার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে আবুল কালাম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় তার বাড়ি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জারিফ হোসেন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জারিফ ময়মনসিংহ শহরের শিকারিকান্দা এলাকার আরিফ হোসেনের ছেলে। কয়েকদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত জারিফকে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মমতাজ বেগম নামে এক নারী মারা গেছেন। তার বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার তেজদাসকাঠী গ্রামে। এক সপ্তাহ আগে মমতাজ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তাকে পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ হাসপাতালে ৭২ জন, বিজিবি হাসপাতালে ১৭, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ১০, জাতীয় অর্থোপেডিক পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ২০, বাংলাদেশ মেডিকেলে ৪৭, বারডেমে ৩৪, ইবনে সিনায় ৩৭, স্কয়ারে ৪৩, কমফোর্টে ১, শমরিতায় ৪, ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৫৯, ল্যাবএইডে ২৯, সেন্ট্রালে ৮৬, হাই কেয়ারে ১৬, হেলথ অ্যান্ড হোপে ৪, গ্রীন লাইফে ৩৯, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ৬৭, ইউনাইটেডে ৪৪, খিদমায় ১৩, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেলে ২৫, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলে ৫৩, এ্যাপোলোতে ৭১, আদ-দ্বীনে ৪৯, ইউনিভার্সেল মেডিকেলে ৩১, বিআরবি হাসপাতালে ৩, আজগর আলীতে ৪১, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৮, উত্তরা আধুনিকে ৬৩, সালাউদ্দিনে ৩২, পপুলারে ২০, উত্তরা ক্রিসেন্টে ১৪ ও আনোয়ার খান মডার্নে ২২ জনসহ ৩ হাজার ৫১৮ রোগী ভর্তি আছেন।
এছাড়া রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৭২৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৪৪, খুলনা বিভাগে ৬৬০, রাজশাহী বিভাগে ২১৭, রংপুর বিভাগে ১১৯, বরিশাল বিভাগে ৩৮৪, সিলেট বিভাগে ৫২ জনসহ মোট ২ হাজার ৭৭১ জন চিকিৎসাধীন আছেন।