ঈদ যাত্রায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিন চলছে আজ। বিক্রি হচ্ছে ২০ এপ্রিলের ট্রেনের আগাম টিকিট। ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হওয়ায় আগের দিনগুলোর চেয়ে আজ টিকিটের চাহিদা বেশি। তবে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখা দিয়েছে সার্ভার জটিলতা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
রেজোয়ানুর রহমান নামের এক সরকারি চাকরিজীবী বলেন, ‘ছোট সন্তান নিয়ে দূরের পথে বাসে যাওয়া খুবই কষ্টকর। তাই ঈদের ছুটিতে ট্রেনে করে বাড়িতে যেতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু সকাল থেকে একটানা চার ঘণ্টা চেষ্টা করেও টিকিট পাইনি।’
সোমবার সকাল আটটায় অনলাইনে টিকেট কাটা শুরুর পরপরই রেলের সার্ভারের গতি ধীর হয়ে পড়ে। টিকিট প্রত্যাশীদের অভিযোগ, সার্ভারে টিকিট দেখালেও কাটতে পারছেন না তারা।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি মিনিটে প্রায় দুই লাখ মানুষ সার্ভারে ঢোকার চেষ্টা করছেন, তাই এই জটিলতা। আজ দেওয়া হচ্ছে ২০ এপ্রিলের টিকিট। মঙ্গলবার বিক্রি করা হবে ২১ এপ্রিলের টিকিট।
গত শনিবার সার্ভার জটিলতায় ‘রেলসেবা’ অ্যাপসে প্রবেশ করতে পারেননি অনেকেই। আবার প্রবেশ করতে পারলেও টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করার পরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থেকেছেন, পরের ধাপে সিলেক্ট হলেও টিকিট পারচেজ (কেনা) সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই কাঙ্ক্ষিত টিকিট শেষ হয়ে যায়।
এরপর দিন রোববার সকালে অনলাইনে টিকিট কাটা শুরুর পরপরই সার্ভারের গতি কমে যায়। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, রোববার এই জটিলতা অনেকটাই কেটে গেছে। এ অবস্থায় অনলাইনে শতভাগ টিকিট দেয়ার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, ৭ এপ্রিল ১৮ হাজার ৫০০, ৮ এপ্রিল ২৫ হাজার ২০০ এবং ৯ এপ্রিল ২৪ হাজার ৪৫০০ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। আজ ২৭ হাজারের কিছু বেশি টিকিট বিক্রি হবে। গত শুক্রবার থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। গতকালের অগ্রিম টিকিটের বিপরীতে ১ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ ‘রেল অ্যাপস’ এ হিট করছে। আগামীকাল ২১ এপ্রিলের টিকিট বিক্রির মাধ্যমে শেষ হবে এবারের অগ্রিম যাত্রার টিকিট বিক্রি। তাই আগামীকাল আরও কয়েকগুণ বেশি চাপ থাকতে পারে।