চট্টগ্রামে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে নগরবাসী চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েন।
শনিবার দুপুরে থেমে থেমে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটা মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এই বৃষ্টিতেই ডুবে যায় নগরীর অনেক নিচু এলাকা। তবে বৃষ্টি কমে আসার পর পানি নেমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
বর্ষণে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ফরিদারপাড়া, চান্দগাঁও আবাসিক, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাড়ইপাড়া, ডিসি রোড, বাকলিয়া, চকবাজার কাঁচাবাজার, রহমতগঞ্জ, আতুরার ডিপো, দেয়ানবাজার, ডিসি রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিতে তলিয়ে যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, মুরাদপুর ও ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় হাঁটু সমান পানি জমে যায়। পানি মাড়িয়ে চলতে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ে অনেক সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। সুযোগ বুঝে গাড়িতে আদায় করা দ্বিগুণ ভাড়া।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানিয়েছেন, বর্তমানে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে সেটা মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ুচাপের কারণে আরও কয়েক দিন এই রকম থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে নালা-নর্দমা থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। তবে অনেক স্থানে বর্জ্য থেকে যাওয়ায় পানি প্রবাহে সমস্যা হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এসব বর্জ্যও দ্রুত অপসারণ করে নেওয়া হবে। তখন জলাবদ্ধতা আরও কমে আসবে।