অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র আঘাতে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি গত রোববার মিয়ানমারে আঘাত হানে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটারের বেশি। ঘূর্ণিঝড়ে মিয়ানমারের বন্দরনগরীর সিত্তে শহরের টিনের তৈরি ঘরগুলো উড়ে যেতে দেখা যায়। খবর- ইরাবতি।
জান্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা শিবির নেতা এএফপিকে বলেন, সিত্তওয়ের উত্তর-পশ্চিমে খাউং ডোকে কার গ্রামে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। নিচু এলাকা, রোহিঙ্গা গ্রাম ও আইডিপি ক্যাম্প থেকে আরও কয়েকজন নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এএফপির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মাছ ধরার কাঠের নৌকাগুলো ভেঙে তীরের কাছে স্তূপ হয়ে পড়ে আছে।
এর আগে সামরিক জান্তা এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, মিয়ানমারে মোকায় কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সারা দেশে ৮৬০টির বেশি বাড়ি এবং ১৪টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
এএফপি সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, ঝড়ের আগে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া শত শত মানুষ ভেঙে পড়া গাছ ও বিদ্যুতের হেলে পড়া খুঁটি পাশ কাটিয়ে ঘরে ফিরছে।
জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া জানিয়েছে, রাখাইনে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখা শত শত বেস স্টেশন ঝড়ে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।