ঘূর্ণিঝড় রিমালে সুন্দরবনে মৃত হরিণের সংখ্যা বেড়ে ৯৬

0
56
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর নদের তীরে ভেসে আসে সুন্দরবনের মৃত হরিণ। গত সোমবার দুপুরে, ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি। সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯৬টি হরিণ এবং ৪টি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জীবিত ১৮টি হরিণ ও ১টি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে আজ সকাল পর্যন্ত সুন্দরবন থেকে ৫৪টি হরিণ ও ২টি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিহির কুমার দো বলেন, আজ সারা দিন সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, করমজল, পক্ষীর চর, ডিমের চর, শেলারচর, নীলকমল ও নারিকেলবাড়িয়া এলাকায় মৃত বন্য প্রাণীগুলো পাওয়া গেছে। মৃত বন্য প্রাণীগুলোকে কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভেসে আসা ১৮টি জীবিত হরিণ ও ১টি অজগর উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, রিমালের আঘাতে সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের ফরেস্ট স্টেশন অফিস, ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বনের ভেতরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যোগাযোগের মাধ্যম ওয়্যারলেস টাওয়ারও। মিঠাপানির শতাধিক পুকুর নিমজ্জিত হয়েছে লবণাক্ত পানিতে। বন বিভাগের অবকাঠামোগত প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

সুন্দরবনে কর্মরত বনকর্মীরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়েছে। পানির কারণে বন্য প্রাণী দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি করে। বিশেষত সুন্দরবনের গহিনে চলে যাওয়ায় হরিণগুলো ভেসে গিয়ে সাঁতরে কূলে উঠতে পারেনি। এ কারণে হরিণগুলো মারা যেতে পারে। মূলত জলোচ্ছ্বাসের কারণেই বন্য প্রাণীগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে বন কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.