বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে ইতোমধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘মন্থা’।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, নিম্নচাপটি ২৭ অক্টোবর সকালে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এরপর গতিপথ সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে। বর্তমান গাণিতিক মডেল অনুসারে, ২৮ বা ২৯ অক্টোবর এটি ভারতের অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ‘সিভিয়ার সাইক্লোন’ হতে পারে। এর প্রভাবে ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বৃষ্টি হবে। বিশেষ করে রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টিপাত সবচেয়ে বেশি থাকতে পারে। এসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এ ছাড়া খুলনা, বরিশাল ও ঢাকায় বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হতে পারে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও কম থাকতে পারে বলেও আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক।
মন্থা নামকরণ
মন্থা নামটি রেখেছে থাইল্যান্ড। থাই ভাষার এর অর্থ ‘সুবাসিত ফুল’ বা ‘সুন্দর ফুল’। পাঁচটি বিশেষ আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে।
আরএসএমসি তার সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নামের তালিকা নিয়ে দীর্ঘ সময় যাচাই-বাছাই শেষে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমওর কাছে পাঠায়। আঞ্চলিক কমিটির একটি প্যানেল ডব্লিউএমও/এসকাপ প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনস বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা অনুমোদন করে।
এই প্যানেলে রয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, ইয়েমেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
















