কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। র্যাব-৪–এর একটি দল গত শনিবার মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে অভিযান চালিয়ে আজাদ কাজীকে গ্রেপ্তার করে।
আজ রোববার র্যাব-৪–এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার আজাদের সঙ্গে কাফরুল এলাকায় মাদক কারবারে যুক্ত ছিলেন নাজমা। এই কারবারে যুক্ত আজাদের সহযোগী সিটু, হৃদয়, মানিক, হিরা ও আমিরের সঙ্গে ধীরে ধীরে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মাদক বিক্রির টাকার ভাগ নিয়ে মানিক ও আজাদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ২০০৫ সালের ৮ জুলাই সকালে আজাদ ও মানিক ঘর থেকে বের করে এনে নাজমাকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় কাফরুল থানায় হওয়া হত্যা মামলায় আজাদসহ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা হওয়ার পরই আত্মগোপনে চলে যান আসামি হৃদয়। ১৫ মাস পর আজাদ কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। এর পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ছদ্মবেশ ধরে।
র্যাব জানায়, পালিয়ে থাকার একপর্যায়ে ২০১৩ সালে গ্রামের বাড়ি পাবনার বেড়া এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন আজাদ। একপর্যায়ে হত্যার বিষয়ে এলাকায় জানাজানি হলে তিনি যশোরে পালিয়ে যান। সেখানে ভেকুর হেলপার হিসেবে কাজ নেন। পরে ২০২০ সালে মানিকগঞ্জের খাশিরচর এলাকায় এক বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) হিসেবে কাজে যোগ দেন আজাদ।
এদিকে বিচারিক কার্যক্রম শেষে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত আজাদকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। আজাদের বিরুদ্ধে ২টি হত্যা ও ৮টি মাদক মামলাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ১৮টি মামলা রয়েছে।