পিয়ন হয়েও মূল ফটকে চেয়ারটেবিল নিয়ে বসে গ্রাহকদের সঙ্গে টাকা লেনদেন করতো রঞ্জু আকন্দ। নিজেকে এমডি আব্দুস সালামের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে কর্মকর্তাদের চোখের সামনে অপকর্ম চালিয়ে গেলেও কেউ তাকে বাধা দেয়নি। সম্প্রতি সে শতাধিক গ্রাহকের টাকা জমা দেওয়ার কথা বলে ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও হয়েছে।
রোববার সকালে জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখায় শতাধিক ভুক্তভোগী গ্রাহক তাদের জমা টাকা অ্যাকাউন্টে না পেয়ে ব্যবস্থাপকের কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জনতা ব্যাংকের পিয়ন পৌর সদরের পাড়কোলা গ্রামের মো. রঞ্জু আকন্দ দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা করার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নিজের কাছে রাখতো। পরে ব্যাংকের সিল মেরে রিসিভ কপি গ্রাহককে দিয়ে দিত। গ্রাহকরা টাকা তুলতে এলে চেক জমা রেখে নিজে টাকা দিয়ে দিত।
এভাবে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যাংকে না রেখে আত্মসাৎ করেছে রঞ্জু। ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে সে এমন কাজ করেছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখার ব্যবস্থাপক জেহাদুল ইসলাম জানান, পিয়ন রঞ্জু আকন্দ ব্যাংকের নকল সিল তৈরি করে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এমডির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সবাইকে জিম্মি করে অপকর্ম চালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে রঞ্জু আকন্দের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, প্রতারক রঞ্জু আকন্দ পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।