হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের গ্রাহকদের ১০৪ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুল জারিসহ এই আদেশ দেন।
রুলে গ্রাহকদের টাকা লোপাটের বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা দুই সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, ইনস্যুরেন্সে ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলিটরি অথোরিটির চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, হোমল্যান্ড ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ প্রতিষ্ঠানটির ১৪ পরিচালককে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ৪ জুন মামলাটি ফের শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসবে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পরিচালকদের প্রতারণার খপ্পরে হোমল্যান্ড লাইফ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হোমল্যান্ড ইনস্যুরেন্সের ১৪ গ্রাহকের পক্ষে রহিমা আক্তার সম্প্রতি হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। আজ ওই রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে আরও ছিলেন অ্যাডাভোকেট আক্তার রসুল মুরাদ, আব্দুল্লাহিল মারুফ ফাহিম ও দিদারুল আলম।
হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের ১০৪ কোটি টাকা লোপাটের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেটের লন্ডন প্রবাসী পরিচালকদের একটি গ্রুপের প্রতারণার খপ্পরে পড়েছে হোমল্যান্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে সিলেটেই করা হতো পরিচালনা পরিষদের বৈঠক। এ গ্রুপটি কোম্পানির তহবিল থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
বোর্ড সভার কার্যবিবরণী জালিয়াতি, জমি কেনায় ভুয়া নথি তৈরি, কমিশন ও অন্যান্য খাতে খরচের ভুয়া ভাউচার তৈরি করে এ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। নথিপত্রে দেখা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানের নামে অস্তিত্ববিহীন জমি কেনা হয়েছে। এরপর সেই জমিতে মাটি ভরাট ও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার নামে আরও অর্থ লোপাট করা হয়েছে।