ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে কেন্দ্র করে হরমুজ প্রণালী বন্ধের বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে তেহরান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যদি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সমুদ্রপথটি বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে এলএনজির দামে প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের পর হরমুজ প্রণালী বন্ধের কারণে বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে নতুন করে আমদানি করতে হলে গ্যাসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তবে, আপাতত দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম স্থিতিশীল আছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বলেন, হরমুজ প্রণালী দিয়ে আমদানিকৃত দীর্ঘমেয়াদি গ্যাসের পরিবহন খরচ বাড়লে স্পটে কেনা কার্গোর সংখ্যা কমিয়ে সমন্বয় করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, হরমুজ প্রণালী বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগত একটি সমুদ্রপথ। এটি পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে এবং ইরান ও ওমানের মাঝখানে অবস্থিত।
প্রণালীটির প্রস্থ খুব বেশি নয়- সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গায় মাত্র ৩৯ কিলোমিটার, যার মধ্যে কেবলমাত্র দুটি সংকীর্ণ চ্যানেল দিয়ে বড় জাহাজ চলাচল করতে পারে। ছোট এই পানিপথ দিয়েই প্রতিদিন প্রায় ২০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এবং তেল পণ্য পরিবহন করে। বিশ্বব্যাপী তেল ও গ্যাস সরবরাহের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট।